নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দায় এক প্রবাসী যুবক মাহবুব আলমের (৩২) বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে ওই প্রবাসী যুবকের বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত মাহবুব আলম উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের আড়ালিয়া গৌরীপুর গ্রামের মৃত আ. হেলিমের ছেলে। তিনি বিগত ১৪ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরি করেন।
আরো পড়ুন :
> পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য আম উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
> নেশার টাকার জন্য খুন করে অটো ছিনতাই
কলেজছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ২০১৬ সালে ছয় মাসের ছুটিতে তিনি দেশে আসে। তখন সে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে মাহবুবের সাথে তার দেখা হতো, কথা হতো। দীর্ঘদিন চলার পর একপর্যায়ে দু’জনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে মাহবুব তাকে (কলেজছাত্রীকে) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে। ছুটি শেষে মাহবুব আবার আরব আমিরাতে চলে যায়।
কলেজছাত্রী আরও জানান, প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল ফোনে দু’জনে কথা চলতো। চলতি বছর গত ৫ জুন মাহবুব আবার দেশের বাড়িতে আসে। গত শনিবার (১০ জুন) সকালে মাহবুব ঐ কলেজছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দু’জন মিলে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরাসহ কেনাকাটা করে। পরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে সন্ধ্যায় মাহবুব তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলে। তার কথামতো কলেজছাত্রী বিড়ির উদ্যেশ্যে রওনা হয়, কিন্তু কিছু দূর গিয়ে মাহবুবের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পেয়ে তার সন্দেহ হয়। পরে ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে না ফিরে মাহবুবের বাসায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে মাহবুব বাসায় নেই।
মাহবুবের বাড়ির ভিতরে ঢুকলে,, মাহবুবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হেনা আক্তার ও মাহবুবের মা তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাতে রাজি না হলে তারা ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তারা মেয়েটিকে ঘরের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
পরের দিন সকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হেনা আক্তার ওই ছাত্রীকে মারধর করে এবং পরে হেনা মাহবুবের মাকে নিয়ে মূল গেটে তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান।
পুলিশ জানায়, গতকাল রবিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত মাহবুব আলমসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এসআই সায়েদুল ইসলাম সায়েদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুন ১২, ২০২৩ at ১৬:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রিকাগু/ইর
