১১ বছর পলাতক থাকার পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ছবি- সংগৃহীত।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভায়রাকে (আবুল কালাম বাবুল) হত্যার মামলায় জামিনে গিয়ে ১১ বছর পলাতক ছিলেন উপজেলার কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী গ্রামের হাবিবুর রহমান (৩৯)। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১৪। সম্প্রতি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে র‍্যাব-১৪ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মোড় এলাকা থেকে হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল শ্বশুর আবদুল বারেকের বাড়ি মুক্তাগাছার মহেশবাড়ী গ্রামে আসেন আবুল কালাম বাবুল ও হাবিবুর রহমান। ওই সময় বাবুল তার পাওনা টাকা ফেরত চান ছোট ভায়রা হাবিবুরের কাছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর কাচের বোতল দিয়ে বাবুলের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যার ঘটনার পর ২০ এপ্রিল নিহতের বাবা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে হাবিবুরকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা করেন। পরে ১৩ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুলের মৃত্যু হলে ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান তিনি। এদিকে দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গত ১৮ মে হাবিবুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

গ্রেপ্তারের পর আসামি হাবিবুরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

মে  ১৯, ২০২৩ at ১৯:৫৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর