নতুন তত্ত্ব দিয়ে ড. ইউনূস বললেন, খুব বেশি সময় নেই

ছবি- সংগৃহীত।

সাসটেইন্যাবিলিটি অ্যান্ড সোসাইটি ফোরাম’- এ বিশ্বনেতারা টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন ড. ইউনূস।

পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মারসোলো রেবেলো ডি সুজার সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় পুরো বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য চিরতরে নির্মূল করতে প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের ওপর জোর দেন ড. ইউনূস।

বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং এই ব্যবস্থার অধীনে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। মানুষ এককভাবে দারিদ্র্য তৈরি করে না, আমদের অর্থনেতিক কাঠামোর ভেতরেই তৈরি হয় দারিদ্র্য।”

পর্তুগাল সফরে আছেন ড. ইউনূস। গত ১২ মে পর্তুগালের পোর্টো নগরীতে অনুষ্ঠিত “সাসটেইন্যাবিলিটি অ্যান্ড সোসাইটি ফোরামের” অনুষ্ঠান শেষে তাদের এই একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন ড. ইউনূস।

সাসটেইন্যাবিলিটি অ্যান্ড সোসাইটি ফোরামে” টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বনেতারা জড়ো হয়েছেন। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্পদ সমাবেশ ও এই উদ্দেশ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপযুক্ত নীতি-কাঠামো প্রণয়ন করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

ইউনূস মানবীয় মূল্যবোধ-কেন্দ্রিক একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সেখানে তিনি “তিন শূন্য” তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলা, দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে সম্পদ-কেন্দ্রীকরণ ও মানুষের উদ্যোক্তা-শক্তিকে বিকশিত করে বেকারত্ব দূর করার মিশন এই তিন শূন্য।

ইউনূস বলেন, “মুনাফা ও লোভের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা আমাদের এই সভ্যতা একটি নিশ্চিত আত্মহননের পথে এগিয়ে চলেছে। সভ্যতার এই জাহাজ দ্রুত ডুবে যাচ্ছে। এই পৃথিবীতে মানব জাতি তার অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে তাকে দ্রুত এই ‘তিন শূন্য-ভিত্তিক’ একটি নতুন সভ্যতার জাহাজ নির্মাণ করে তাতে উঠে পড়তে হবে।”

তিনি সাবধান করেন, “সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে, টিকের থাকার এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের সামনে বড়জোর কয়েকটি দশক সময় আছে, কয়েকশ বছর নয়।”

মে  ১৮, ২০২৩ at ১৮:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর