মিলানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেলো ইন্টার

ছবি- সংগৃহীত।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালেই মিলান ডার্বি। একে অপরের মুখোমুখি মিলানের দুই জায়ান্ট এসি মিলান এবং ইন্টার মিলান। গুইসেপ্পে মায়েজ্জা (সান সিরো) স্টেডিয়ামে প্রায় ৭৬ হাজার দর্শকের সামনে এসি মিলানের জালে দুইবার বল জড়িয়ে দিলো ইন্টার মিলান। সে সঙ্গে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো তারা।

ইন্টার মিলানের হয়ে ম্যাচের শুরুতেই গোল দুটি করলেন এডিন জেকো এবং হেনরিখ এমখিতারিয়ান। ফাইনালে উঠলে ম্যানসিটি কিংবা রিয়ালের মুখোমুখি ইন্টার। সেমিফাইনালের অপর ম্যাচে আগের দিন ১-১ গোলে ড্র করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানসিটি।

২০১০ সালের পর এখনও পর্যন্ত ইতালিয়ান কোনো ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয় করতে পারেনি। সর্বশেষ ২০১০ সালে জিতেছিলো ইন্টারমিলান। এবারও নিশ্চিত ইতালির একটি দল ফাইনাল খেলবে এবং শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।

ম্যাচের শুরু হতে না হতেই গোল দুটি দিয়ে ফেলে ইন্টার। ৮ম মিনিটে প্রথম গোল করেন এডিন জেকো। খুব কাছ থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে বলটি এসি মিলানের জালে জড়ান তিনি। এরপর ১১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন এমখিতারিয়ান। ফেডেরিকো ডিমার্কোর ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে অসাধারণ গোলটি করেন তিনি।

ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে মনে হবে পুরো মাঠজুড়ে খেলেছে কেবল এসি মিলানই। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো মিলানই। তাদের ছিল ৫৭ ভাগ বল দখলে। ইন্টারের ৪৩ ভাগ। যদিও গোললক্ষ্যে বেশি শট নিয়েছিলো ইন্টারই। ১৬টি। যার মধ্যে ৫টি ছিল একেবারে পোস্ট বরাবর। অন্যদিকে এসি মিলানের শট ছিল ১৩টি। পোস্ট লক্ষ্যে ছিল কেবল ২টি।

প্রথমার্ধে ২ গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মিলান। কিন্তু গোলের পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টো নিজেদের দুই গোল ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে ইন্টার মিলান।

ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গোলদাতা এডিন জেকো বলেন, ‘আমি অসাধারণ অনুভব করছি। বিশেষ করে এটা ডার্বি (মিলান) হওয়ার কারণে। কাগজ-কলমে আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছি। সুতরাং, এই জয় আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু ।

মে  ১১, ২০২৩ at ১১:৪৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর