জীবিত মানুষকে মৃত বানানোর অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে সনদ দিলেন তালা উপজেলার ১নং ধানদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম। তালা উপজেলার ১নং ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাতি গ্রামের অধিবাসী নেকজান বেগম জীবিত থাকলেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকে মৃত দেখিয়ে সনদ প্রদান করেছেন। অনুসন্ধান করে দেখা যায়, নেকজান বেগম জীবিত আছেন। নেকজান বেগম ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৬৪ বছর। তিনি সরকারের বয়স্ক ভাতা পেতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ের সেনেরগাতী গ্রামের মদন সরদারের মেয়ে নেকজান বেগম বর্তমানে জীবিত আছেন। ১৯৫৯ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করে বর্তমানে ৬৪ বছরে পা রেখেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বয়স্ক ভাতার সুবিধা ভোগ করে আসছেন। কিন্তু গত বছরের ১ ডিসেম্বর ধানদিয়া ইউনিয়নের পানেল চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম তাকে মৃত দেখিয়ে সনদ দেন।

পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত মৃত বয়স্কা ভাতাভোগীদের পরিবর্তন করে অপেক্ষামাণ নতুন উপকারভোগীর তালিকা করা হয়। এছাড়া, তালিকায় নেকজান বেগমের পরিবর্তে খাদিজা বেগম নামের একজনকে বয়স্ক ভাতা কার্ড দেয়ার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সুপারিশপত্র পাঠানো। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানার পরে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন :
> আমরা যুদ্ধ সংঘাত চাই না: প্রধানমন্ত্রী
> রাজাপুরে চার সন্তানের জননীকে মারধরের অভিযোগ

অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই সময় তিনি রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে ছিলেন। ওই নারীর মৃত সনদ দিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল। এরপর আমি জামিনে এসে ওই তালিকায় স্বাক্ষর করি। ব্যাস্ততার কারণে বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি।

তালা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমনা শারমিন জানিয়েছেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যনের সঙ্গে কথা হয়ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে দ্রুত এবিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করলে ফোন ধরেননি তিনি।

মার্চ ২৪, ২০২৩ at ২১:০৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভোকা/সুরা