তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ছাড়ালো ৩৪ হাজার

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর অতিবাহিত হয়েছে এক সপ্তাহ। এসময়ের মধ্যে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানা যায়। উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৬০৫-এ পৌঁছেছে। সিরিয়ায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি। খবর-আল জাজিরার। জাতিসংঘ বলেছে যে ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।

এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দেশের ধ্বংসাত্মক ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এর কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ৬ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর।

ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়েছে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ডব্লিউএইচও এর শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মার্শাং বলেন, ‘ভূমিকম্প যেসব অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে, তার মানচিত্র অনুসারে বলা যায় যে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলে বেসামরিক অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আরো পড়ুন:
>বেনাপোলে ২৩ লাখ টাকাসহ আটক সেই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
>আকাশে আবারও ‘রহস্যময়’ বস্তু, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামাল যুক্তরাষ্ট্র

জেনেভায় ডব্লিউএইচও এর নির্বাহী কমিটিকে মার্শাং বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচও মনে করে যে সিরিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন জরুরি পণ্যের অভাব দেখা দেবে। এমনকি দেশটিতে মধ্যমেয়াদী সময়ের জন্য আরও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত আফটারশক হতে পারে। সিএনএনের আবহাওয়াবিদ ক্যারেন ম্যাগিনিস ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে ভূকম্পনের বৈশিষ্ট্যের কারণে আফটার শক পরের কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস পর্যন্তও অনুভূত হতে পারে। সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি।

ফেব্রুয়ারি ১৩.২০২৩ at ১১:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/ এসআর