রায়চৌধুরী পরিবারের, পৌষ কালী পুজোয় ৪৫১ ভোগের আয়োজন

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও রায়চৌধুরী পরিবারের এই পুজোয় ভোগের জন্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ৭ই জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার দুপুর দুটোই, বাগবাজার হাউসিং এসোসিয়েশন, ২ নম্বর আনন্দ চ্যাটার্জি লেনের, রায় চৌধুরী পরিবারে, বাবা গ্রহরাজ মা কালী পুজো, ৪৫১ ভোগ দিয়ে শুরু করলেন , ভারত বর্ষ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন যে সকল ধর্মীয় স্থানে ও মন্দিরে ভোগ দেওয়া হয় , সেই সকল ভোগ্যে উপলক্ষ করেই রায়চৌধুরী পরিবারে ৪৫১ ভোগের আয়োজন, রায় চৌধুরী পরিবারের কর্ণধার রাজা রায়চৌধুরী।

এবং পরিবারের রিয়া রায়চৌধুরী ,রেশমি রায়চৌধুরী ,কল্পনা রায়চৌধুরী ও অনীশ সাহার কাছ থেকে জানা গেল, এখানে কোন জাতিভেদের ব্যাপার নায়, সমস্ত ধর্মীয় মানুষরা এই ভোগ রান্না করতে ছুটে আসেন, এই দিনটিতে এবং সকাল থেকেই শুরু করে দেন তাদের ভোগে রান্নার আয়োজন এবং তারা তাদের বিভিন্ন পদ তৈরি করেন, এক একজন আর্থিকি দশটি পথ রান্না করেন, জৈন, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ,বাঙালি, ব্রাহ্মণ সবাই মিলেমিশে এই ভোগের আয়োজন করেন। এই পুজো প্রথম শুরু হয় ১২০ রকমের ভোগ দিয়ে।

আস্তে আস্তে নবম তম বর্ষে আমরা ৪৫১ রকম ভোগের আয়োজন করতে পেরেছি, এবং প্রথম পুজো করেন মূর্তি গড়ে ,কিন্তু কিছু বিপদ ঘটায় , তাহার পর থেকে চৌধুরী পরিবার পটের মাধ্যমে এইভাবে পূজা করে আসছেন, বাবা গ্রহরাজ ও মা কালী ফটোই পুজো করে আসছেন, এবং এই পুজোর বিশেষত্ব হলো ভোগ, এই ভোগের জন্যই রায়চৌধুরী পরিবারের পৌষ কালীর পূজো সকলের কাছে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

এবং জাঁকিয়ে শীতের কলকাতায় সদ্য হ্যাপি নিউ ইয়ার উদযাপনে পরেই, নতুন বছরের প্রথম পুজো রায়চৌধুরী পরিবারের ,পৌষ কালীপুজো ও রাজকীয় ভোগের আয়োজন মানুষের কাছে ও কালী মা ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তবে উদ্যোক্তা বলেন, দুটি বছর করোনায় যেভাবে পরিবার থেকে শুরু করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল, দুঃখ কষ্টকে মেনে নিতে হয়েছিল ,আমরা কামনা করি।

আরো পড়ুন:
>ফের ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ মিঠুন
>ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই
>গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ

এই পুজোর মাধ্যমে যেন কোনদিন আর না আসে, সেই দিনটি কালীমা যেন সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখে, সবাই যেন আনন্দে দিন কাটাতে পারে, আর আমরাও যেন সামনের বছর মাকে আরো বেশি ভোগের আয়োজন করতে পারি এই আশায় রাখি, আজ আমরা বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, কর্ণাটক, হায়দ্রাবাদ, লখনৌ, দিল্লি, ত্রিপুরা, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ, বিহার মহারাষ্ট্র, সিকিম, সহ অন্যান্য দেশের যে সকল দেব-দেবীর মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে ভোগ দেওয়া হয়, এই কালীমার সামনে, সমস্ত দেশের ভোগের বিভিন্ন পথ তুলে ধরা হয়েছে।

জানুয়ারি ০৮.২০২৩ at ১০:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এমএইচ