আজ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ছবি- সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি)। বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির স্লোগানকে ধারণ করে জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

১৯৪৮ সালে পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী ৪ জানুয়ারি ২০২২ গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের একেকটি সিঁড়ি বেয়ে ৭৬ বছরে পদার্পণ করল। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:
>পরীমণি বললেন ‘ইনজয়’ কর
>হাঁ করে বিশ্বরেকর্ড, এক বারেই এই মহিলা খেয়ে নিতে পারেন আস্ত বার্গার!

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চোয়ান্নর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, আটান্নর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

কর্মসূচি : ছাত্রলীগের বছরব্যাপী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি-ফল চাষ, গৃহপালিত পশুপালন, পুকুরে মাছ চাষ ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

পাশাপাশি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময়, কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পুনর্মিলনী, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ : গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আইডিয়া কনটেস্ট, সব সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট ইয়ুথ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। আরও আছে-শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে ২ মিনিটের শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতার আয়োজন।

আরো পড়ুন:
>পরীমণি বললেন ‘ইনজয়’ কর
>হাঁ করে বিশ্বরেকর্ড, এক বারেই এই মহিলা খেয়ে নিতে পারেন আস্ত বার্গার!

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ডেভেলপমেন্ট কুইজ’ আয়োজন, নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতা, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট’, স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের ওপর আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স, স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা-চক্র এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : আওয়ার কান্ট্রি, আওয়ার ড্রিম’ শীর্ষক পোস্টার প্রেজেন্টেশন কর্মসূচি। বছরব্যাপী এসব কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনে প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে নির্দেশনা এবং ছাত্রসমাজকে নিজেদের মেধার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত এক দশকে ১০ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পেয়েছে ছাত্রলীগ। এদের কেউই তাদের দায়িত্ব পালনকালে দেশের ১১৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের সবগুলোর কমিটি করতে পারেননি। সর্বশেষ দায়িত্ব থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ১১৯টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ৭০টিতে কমিটি করতে পারেননি।

জানুয়ারি ০৪.২০২৩ at ১১:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর