ফখরুল ও আব্বাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল

ছবি- সংগৃহীত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল চেয়ে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের (ফখরুল-আব্বাস) জামিন স্থগিত চেয়ে শিগগিরই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হবে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আটকের ২৬ দিন পর হাইকোর্ট থেকে তারা জামিন পান। এর আগে নিম্ন আদালতে চার দফা তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, আজ হাইকোর্টে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছি। তারপরও আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। আমরা জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করবো। শিগগিরই এ আবেদন করা হবে।

তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিবের ড্রয়ারে দুই লাখ টাকা এবং তার কার্যালয়ে ককটেল পাওয়া গেছে। তারা যে হামলার পরিকল্পনাকারী এবং উসকানিদাতা, তা প্রাথমিক তদন্তে এসেছে। আসামি চালানপত্রেও (ফরোয়ার্ডিং লেটারে) বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:
>ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
>গাইবান্ধার উপনির্বাচনে ভোট শুরু

গতকাল সোমবার পল্টন থানার মামলায় জামিন চেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আবেদন করেন। তাদের জামিন আবেদন শুনানির জন্য আজ আদালতে ওঠে। শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ তাদের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে এতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ ছিল না।

পরে ওই দুই নেতার বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাদের পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানুয়ারি ০৪.২০২৩ at ১০:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর