গাইবান্ধার উপনির্বাচনে ভোট শুরু

ছবি- সংগৃহীত।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপনির্বাচনে ভোট শুরু হয়, যা চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ ভোট শুরু হয়, যা চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ট্রাক অথবা পিকআপ ভ্যানযোগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। বিকেলের মধ্যে চরাঞ্চলসহ সব কেন্দ্রেই নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে যায়।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যের নিরাপত্তার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।

আরো পড়ুন :
>যশোর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি‘র নির্বাচন শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণায়
>জেইউজের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব গ্রহণ

এ ছাড়া নির্বাচনের দিন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ২৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত বছরের ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আরো পড়ুন :
>যশোর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি‘র নির্বাচন শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণায়
>জেইউজের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব গ্রহণ

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, সাঘাটার ১০ ও ফুলছড়ির সাত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। সাঘাটায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়িতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জনসহ এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন। ১৪৫ কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ভোট নেওয়া হবে। কেন্দ্রেগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৯০৪ পোলিং অফিসার। তবে ১২ অক্টোবরের উপনির্বাচনে দায়িত্বরত ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসারকে এবারের ভোটে রাখা হয়নি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে ১৪৫ ভোটকেন্দ্রের ভোট। গত ১২ অক্টোবর ইসি কার্যালয়ে বসে সিসি ক্যামেরায় এ আসনের ভোটে অনিয়ম দেখে মাঝপথে নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। পরে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই) ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।

জানুয়ারি ০৪.২০২৩ at ০৯:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর