কালীগঞ্জে সহ-সুপার পদে নিয়োগ দূর্নীতির বিষয়ে মুখ খুললেন সভাপতি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সদ্য এমপিওভুক্ত বারপাখিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে হাফিজুর রহমান সহ সহকারী তিন শিক্ষককে নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীসহ তৎকালীন সভাপতি জাবের হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরিষ্কার বিয়টিকে নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন জেলা শিক্ষা অফিসসহ কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন এবং গত ১৫ সেপ্টম্বর জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী ইন্সপেক্টর মোজাফফর হোসেন পলাশকে প্রধান করে ২ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের আদলে বর্তমান সহ-সুপার সহ আরো ৩ সহকারি শিক্ষককে নিয়োগ দেখানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু শিক্ষক সহ শিক্ষা কর্মকর্তারা।

সহকারী সুপার হাফিজুর রহমানকে নিয়োগপত্র ব্যাকডেটে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে দেখালেও একই পদে মওলানা রুহুল আমিন ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অত্র পত্রিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের শেষঅব্দি কর্মরত ছিলেন। অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তদের ইনডেক্স চালু করতে প্রতিষ্ঠানের সুপার আবুল কালাম আজাদ শিক্ষা অফিসের সাথে মোটা অংকের অর্থ চুক্তির বিষয়টিও জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন :
>গাজীপুরে ময়লার স্তুুপ থেকে পাওয়া গেলো নবজাতকের মরাদেহ
>সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ
>বাফুফে সভাপতির ১৪ বছরে কী পেল বাংলাদেশে ফুটবল

বর্তমান সহ সুপার হাফিজের নিয়োগের কাগজপত্র গোপনে সভাপতি জাবের হোসেন এর স্বাক্ষর দেখিয়ে নিয়োগের বৈধতা দেন সুপার সহ সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে অনিয়মের বিষয়য়ে প্রতিষ্ঠান সুপার আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা বিষয়টি অস্বীকার করেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি জাবের হোসেন বলেন,বর্তমান সহ সুপার হাফিজকে আমি ২০১৮ সালে নিয়োগ দিয়েছি আর রুহুল আমিন সহ আরো ৩জন শিক্ষককে ২০১৫ সালে নিয়োগ দিয়েছি।

এছাড়া ঐ প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় শ্রেনী সার্টিফিকেটধারী শিক্ষক রয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী ইন্সপেক্টর ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোজাফফর হোসেন পলাশ বলেন, প্রাথমিকভাবে তৈরি কাগজপত্র মনে হলেও পরে কাগজ দেখে বিষয়টি সঠিক মনে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী রবিবার তদন্ত রিপোর্ট দিব। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসা অধিদপ্তর দেখে থাকে। তদন্তের বিষয়য়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধানকে দেখিয়ে দেন।

জানুয়ারি ০৩.২০২৩ at ১৭:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর