সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ

সরিষা ফুলের হলুদ রঙে সেজেছে টাংগাইলের ভূঞাপুরের ফসলের মাঠ। যতদূর দু’চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। পুরো মাঠ যেন হলুদ গালিচায় ঢেকে গেছে। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে গ্রামীণ জনপদ হয়ে উঠেছে আরো মনোমুগ্ধকর। সেই সাথে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৌয়ালরা। মৌমাছি সরিষার ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষা ফুলে সহজেই পরাগায়ন ঘটে।

সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করলে, সরিষার ফলন অন্তত ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। সরিষার চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় উপজেলা জুড়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সরিষা চাষিরা বলেন, আমাদের এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রতি বছর সরিষার ভালো ফলন হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর চাষ বেশি হয়েছে। আমরা যেসব জমি পতিত রাখতাম সেসব জমিতেও এখন সরিষার চাষ করেছি। এছাড়া সরিষা খেতের পাশে মৌচাক বসানোর কারণে সরিষা খেতে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না এমনকি মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাম্পার ফলন হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন :
>দিনাজপুরে “আমরা” সংস্থার আয়োজনে শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
>এবার বাড়ছে বিয়ে ও তালাকের খরচ
>বিরামপুরে এতিমখানার চেক বিতরণে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবছর ৩৫০শ’ হেক্টর চাষ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় উভয় জাতের সরিষা কৃষকরা চাষ করেছে।

আমরা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও সরিষার বীজ বিতরণ সহ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আগামী বছর আরও বাড়বে বলে আশা করছি।

জানুয়ারি ০৩.২০২৩ at ১৫:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর