শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সূর্য। বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হাড় কাঁপানো শীত গ্রাস করেছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে। খড়কুটো জ্বালিয়েও ঠান্ডা কমানো যাচ্ছে না। গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। তারা বলছেন, প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সারারাত প্রচুর ঠান্ডা থাকে। দিনেও কুয়াশা আর ঠান্ডায় অনেক সমস্যা হচ্ছে।

ঝিনাইদহে হিম হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। চালকরা বলছেন, হেডলাইট জ্বালিয়েও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। ভোরের আলো ফুটলেও সন্ধ্যার আবহ ঝালকাঠিতে। কনকনে বাতাসে কাজে যেতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে, শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ২০ বেডের বিপরীতে ৬৫ জন শিশু ও ১০০ বেডের বিপরীতে সাড়ে ৩০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের।

রোগীর স্বজনরা বলছেন, হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে। মেঝের চারদিকে নোংরা ছড়িয়ে আছে। এতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হাড় কাঁপানো শীতে কাবু গাইবান্ধা ও রাজশাহীর জনজীবন। একটু উষ্ণতার আশায় মোড়ের চায়ের দোকানে ভিড় করেন অনেকে।

জানুয়ারি ০২, ২০২৩ at ১৬:১৩:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস