কুবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীর কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যান্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করবে বলে ঘোষণা দেয়।

গত ২৪ আগস্ট বুধবার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং তিন দিনের মধ্যে বিচারের দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

আরো পড়ুন :
ঘোড়াঘাটে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট (সোমবার) বেলা ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করে এবং প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর আশ্বাসে সাত দিনে বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করে।

সাতদিন ফুরোলেও প্রশাসন থেকে কোনো ফলাফল না আসায় আজ (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামে এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তালা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা দেয় শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান বিদ্যুৎ বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছি প্রশাসনিক ভবনের তালা দেওয়া জন্য। এতদিন কেন প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারে নাই। একজন কর্মচারী যেভাবে জনগণের সামনে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে সে এখন জাতির সামনে ক্ষমা চাইবে।

আরেক শিক্ষার্থী হুমায়রা শওকত বলেন, একজন কর্মচারী হয়ে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেভাবে অযৌক্তিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে সেটা ভিত্তিহীন। স্যার যখন বিষয়টি নিয়ে সমাধান করতে ভিসি স্যারের রুমে গেছেন। একই সময়ে তারা মানববন্ধনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেন। যা খুবই অমবমাননাকর। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা এখন এটির সুষ্ঠু বিচার চাই।

এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের দাবি জেনেছি, এ বিষয়ে আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলতে যাচ্ছি। তাদের এ দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে প্রশাসন অবশ্যই তদন্ত করে দেখবে।

উল্লেখ, গত মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এসময় ব্যানারে ওই সাবেক রেজিস্ট্রারকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত-শিবিরের প্রধান পৃষ্টপোষক, জামাত-শিবিরে ও বিএনপির নিয়োগ দাতা, সোলার ক্রয় দুর্নীতির মূল হোতা, বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ বলে অবহিত করেন।

সেপ্টেম্বর ০৬,২০২২ at ১৬:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /মব /শই