পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে গেলে, পরিণতি কী হবে

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন—এমন ধারণা হয়েছে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রিয়ানের। এর বিপরীতে তিনি বলেছেন, পুতিনের বোঝা উচিত ন্যাটোও একটি পারমাণবিক জোট।

হয়তো কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি সে রকম কিছু অঘটন শুরু হয়ে যায়, পরিণতিটা কী হতে পারে, সে সম্পর্কে আমরা কতটা জানি? যুদ্ধ কিন্তু শুধু ইউরোপ-আমেরিকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। চীন-বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান, কোনোটাই বাদ যাবে না। সীমিত বা আঞ্চলিক পারমাণবিক যুদ্ধ এখন আর হবে না। হলে হতে হবে বিশ্বব্যাপী, শুরুটা যেখানে যেভাবেই হোক।

আরো পড়ুন :

পাইকগাছায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম উর্ধমুখী, বিপাকে সাধারন মানুষ
যবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচিতে জাতীয় শোক দিবস পালন

এ রকম পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধ কি হতে পারে? অন্তত একটি কারণে এর আশঙ্কা খুবই কম। কীভাবে জানলাম? সে কথায় পরে আসছি। অবশ্য ঘটনা দিন দিন খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন সীমান্তে হামলা চালিয়েছে।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া- এ দুই প্রধান রফতানিকারক দেশের খাদ্য উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। যদি পারমাণবিক যুদ্ধের প্রভাবে তারা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত নাও হয়, তবে আমদানি নির্ভরশীল দেশগুলো পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

জলবায়ু বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও সমীক্ষাটির সহ-লেখক অ্যালান রোবক বলেছেন, তথ্যগুলো আমাদের একটি বার্তাই দিচ্ছে, তা হলো- যে কোনো মূল্যে অবশ্যই পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে হবে। তা ঘটতে দেয়া যাবে না।

এর আগে ১৮১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট তামবোরা এবং ১৭৮৩ সালে আইসল্যান্ডের লাকির মতো বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরে বায়ুমণ্ডলে ছাই প্রবেশে জলবায়ুতে মারাত্মক পরিবর্তন আসে। যার ফলে দুর্ভিক্ষ এবং রাজনৈতিক উত্থান ঘটেছিল।

আগষ্ট ১৬,২০২২ at ১০:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সয়/শই