কুবি ল্যাবের এসি বিভাগীয় প্রধানের রুমে প্রতিস্থাপন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ল্যাবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিজের কক্ষে প্রতিস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টিকে বিভাগের ‘ইন্টার্নাল’ ব্যাপার বলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের জন্য চারটি ল্যাব বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ল্যাব নির্মাণাধীন আর বাকি দু’টির কাজ সম্পন্ন করে এগুলো ব্যবহার করছেন শিক্ষার্থীরা। পরিপূর্ণ ল্যাব দু’টির একটি ডেস্কটপ ও আরেকটি ল্যাপটপ ল্যাব নামে পরিচিত। এর মধ্যে ল্যাপটপ ল্যাবটির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ৫০ টি ল্যাপটপ ও চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে সময়ে বরাদ্দকৃত চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রই ল্যাবে স্থাপন করা হলেও কয়েক মাস আগে এর একটি ল্যাব থেকে খুলে বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে স্থাপন করেন বিভাগীয় প্রধান পার্থ চক্রবর্তী।

আরো পড়ুন :
প্রাণ হারালেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার, টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়ার জেরে
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ল্যাবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র খুলে নিজের কক্ষে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানকে জিজ্ঞেস করা হলে পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিভাগের ইন্টারনাল বিষয় বিভাগে রাখতে দাও। একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব এসি কোথায় খুলবো, কোথায় লাগাবো।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে বিভাগীয় প্রধান কোনো বিষয়ে মন্তব্য দিলে সাধারণত বিপরীত মন্তব্য করা যায় না। তবে এতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকরা নিজেদের মনমতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভাগ চালান। শিক্ষার্থীদের কথা কেউ ভাবে না। তাই, ল্যাবের এসি খুলে নিজেদের রুমে লাগান তারা।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আগষ্ট ১৫,২০২২ at ১১:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মব/শই