অতি ঠান্ডায় ৭ বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যু

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যামপিডুজায় যাওয়ার পথেঅতি ঠান্ডায় সাত বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সিসিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল অ্যাগ্রিগেন্টোর কৌঁসুলি লুইগি প্যাট্রোনাগ্গিও এমন তথ্য দিয়েছেন।

ল্যাপিডুজার নিকটবর্তী জনবসতিহীন দ্বীপ ল্যাম্পিওয়নের উপকূল থেকে ১৮ মাইল দূরে একটি নৌকায় তাদের দেখতে পান উপকূলরক্ষীরা। পরে তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তখন সাত বাংলাদেশির মরদেহ পাওয়া গেছে।-খবর রয়টার্সের

এ ঘটনায় অবৈধ অভিবাসী ও মানুষহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগের তদন্তে নেমেছেন লুইগি প্যাট্রোনাগ্গিওর কার্যালয়। হাইপারথার্মিয়া বলতে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা কমে যাওয়াকে বোঝায়। দীর্ঘ সময় ঠান্ডার মধ্যে অবস্থান করলে এমনটি ঘটতে পারে। এতে মানুষের শরীরে তাপ উৎপাদন বা শোষণের চেয়ে বিকিরণ করে বেশি। সাধারণত মানবদেহের কেন্দ্রীয় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেলে হাইপারথার্মিয়া হতে পারে।

আরো পড়ুন:
র‌্যাবের সমস্যা থাকলে ফ্রেশ ট্রেনিং দিতে পারে আমেরিকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নড়াইলে অটিষ্টিক শিশুদের নিয়ে ক্রীড়া ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন!!

ল্যামপিডুজার মেয়র সালভাদর মার্টিওলো তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়, নৌযানটিতে ২৮০ জনের বেশি অভিবাসী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ ও মিসর থেকে যাওয়া।

হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীর মূল গমনপথ এখন ইউরোপীয় দেশ ইতালি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে অভিবাসীদের নৌকার সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৭৫১ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালির বন্দরে অবতরণ করেছেন।

জানুয়ারি ২৫.২০২২ at ১৮:২৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ