রহস্যঘেরা গৃহবধূ ধর্ষণ, ২ মাসে ৩ বার কক্সবাজার: একেক হোটেলে একেক নাম!

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এই দুইজন গত ২ মাসে ৩ বার কক্সবাজার এসেছে। একেক হোটেলে একেক নাম দিয়ে তারা কক্সবাজার থেকেছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান দেশ দর্পণকে বলেছেন, ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তারা বিগত সময়ে কক্সবাজার কেন এসেছে এবং ভিন্ন নাম কেন ব্যবহার করেছে তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মামলার এজাহারে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের শুরুতে সব কিছুতেই গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলে অবস্থানকালীন সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্ষিতা ওই মহিলা এখন পুলিশরে জিম্মায় রয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনাটি রহস্যজনক। ধর্ষণ হওয়া নারী গত দুই মাসে ৩ বার কক্সবাজার এসেছে। এর আগে দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে ওই নারী। বিষয়টি সন্দেহজনক। তাই সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বুধবার সংঘটিত ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কক্সবাজার সদর থানায়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুুলিশকে।

আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে চাচার মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন মেম্বার প্রার্থী
ব্যতিক্রমী প্লাটফর্ম “বইবৃক্ষ” পাবনা শাখার উদ্বোধন 

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে শহরের বাহারছড়ার আশিকুল ইসলাম, তার প্রতিবেশী ইসরাফিল হুদা জয়া, উত্তর বাহারছড়ার বাবু ও হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে। এর মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার সদর থানা।

এ ঘটনায়, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনরা। এদিকে গৃহবধূ ধর্ষণের বিষয়টিও রহস্যঘেরা বলে বলছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে গরমিল হতে পারে। এছাড়া, ওই মহিলাকে হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করা হয়েছে দাবি করলেও তাকে হোটেলে নিল কীভাবে তা রহস্যঘেরা? তাকে জোর করে হোটেলে নিলে নিশ্চয়ই হোটেল কর্তৃপক্ষ জানত।

মামলার বাদী ও গৃহবধূর বক্তব্যে গরমিল থাকায় প্রশাসনও বিব্রত হচ্ছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ ঘটনা নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৪.২০২১ at ২২:৪২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিপ্র/তআ