রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসছে জাসদ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে সংলাপের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে আলোচনায় বসছেন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতাদের সঙ্গে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে আলোচনায় বসছেন তিনি।

ইতোমধ্যে ১৪ দলের আরও দুই শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আমন্ত্রণ পেয়েছে সংলাপের। ন্যাপকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ৪টায় এবং ওয়ার্কার্স পার্টিকে আগামী ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার একই সময়ে বঙ্গভবনে সংলাপে ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সংলাপের ডাক পেয়েছে। এ দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা হবে ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায়। জোটের নিবন্ধিত অন্য দু’দল সিপিবি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এখনো সংলাপের চিঠি পায়নি। এছাড়া ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় তরীকত ফেডারেশন, একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিস এবং ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বিএনএফ এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন রাষ্ট্রপতি।

আরো পড়ুন:
মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ভূঞাপুর ইউপি নির্বাচনে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

সরকারি দল আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথম দিন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের তিন দফা প্রস্তাব ছাড়াও ইসি গঠনে সার্চ কমিটির জন্য মুখবন্ধ খামে পাঁচটি নাম দিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। আমন্ত্রণ পাওয়া ১৪ দলের শরিক বাম নেতারা বলছেন, তারা চাইছেন সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও দলমত নিরপেক্ষ এমন একটি নির্বাচন কমিশন, যারা স্বাধীন ও স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি জানান, রাষ্ট্রপতির সংলাপে তারা ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের কথা তুলে ধরবেন। তবে শেষ পর্যন্ত আবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হলে, সেক্ষেত্রে অর্থবহ ও কার্যকর নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন- এমন ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন করার কথা বলবেন। বিশেষত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে আমলাদের পরিবর্তে হাইকোর্ট ডিভিশন অথবা সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে বলবেন তারা। প্রসঙ্গত, কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সংবিধান অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন। ওই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ডিসেম্বর ২২.২০২১ at ১১:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সম/এমএইচ