শিক্ষার্থীর বাসায় থরে থরে সাজানো নানা ব্র্যান্ডের মদ

নাফিজ নিজেকে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দাবি করেন। শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নেন বাসা ভাড়া। এরপর শুরু করেন মাদকের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা। সহজে মাদক সরবরাহ ও বিক্রির জন্য আশ্রয় নেন পুলিশসহ ভিন্ন পরিচয়।

বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতভর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, আইস, প্যাথেড্রিন, গাজাসহ উদ্ধার করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহৃত ওয়াকিটকি, পুলিশের ক্যাপ, ব্যাজসহ দু’টি খেলনা পিস্তল। এসময় এক অভিযান চালিয়ে তরুণ মাদক ব্যবসায়ী নাফিজ ও তার বান্ধবীকে আটক করেছে র‌্যাব।

নাফিজ মোহাম্মদ আলম বলেন, আমার বাসায় মদ ছিল এখন আইসের ব্যাপারে আমি অবগত না। আমি বারে গিয়ে মদ খাই। আমার দুইটা বারের লাইসেন্স আছে। অন্যদিকে বান্ধবী রাত্রী বলেন, মদ খাই এটা জানি কিন্তু ব্যবসা সম্পর্কে জানতাম না।

আরো পড়ুন:
দেশে মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার
দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে কালো চশমা: গবেষকরা

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, বসুন্ধরার বাসা ব্যবহার করতো মাদকের গুদামঘর হিসেবে। গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গাতে মূলত মাদকের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করত সে। তার কাছে আমরা পুলিশের ক্যাপ পেয়েছি, ব্যাচ পেয়েছি, ইলেকট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র পেয়েছি। যথেষ্ট সন্দেহের ব্যপার যে সে পুলিশ বেশে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিতে যেতে পারে।

র‌্যাব জানিয়েছেন, নাফিজের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

নভেম্বর ০৪.২০২১ at ১২:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ