দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে কালো চশমা: গবেষকরা

বাংলাদেশের প্রকৃতিতে এখন চলছে শীত। শীত মানে ঠান্ডা বাতাস আর এই ঠান্ডা বাতাসের আক্রমণের শিকার হয় আমাদের চোখ। চেখ খুব সংবেদনশীল বলে রোদের তাপের মতো, ঠান্ডা বাতাসও সহজেই চোখকে আক্রান্ত করে। এসব আক্রমণের শিকার থেকে বাঁচতে সানগ্লাসের বিকল্প নেই। সারা বছরই সানগ্লাস ব্যবহার করা খুব জরুরি। কারণ মেঘলা দিনেও সূর্যের ইউভি রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। ধুলোবালি আর খোলা বাতাসে নানা রকম ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হয় চোখ। তাই সূর্যের তাপ, ঠান্ডা বাতাস, ধুলাবালি থেকে রক্ষা, চোখের নিরাপত্তা ও ফ্যাশন সচেতনতার জন্য সানগ্লাসের বিকল্প নেই।

রঙের ধরন অনুযায়ী সাধারণত তিন ধরনের সানগ্লাস আছে। একই রঙের কাচের সানগ্লাস, একই রঙের হালকা ও গাঢ় শেড কিংবা দুই রঙের শেড এবং মার্কারি রঙের। এর মধ্যে হালকা ও গাঢ় রঙের শেডযুক্ত সানগ্লাসই বেশি জনপ্রিয়। রঙয়ের দিক থেকে আবার বেশি জনপ্রিয় কালো চশমা।

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ধরনের কালো চশমা বাজারে আসে। অনেকে আবার কালো চশমা খুব আগ্রহ করে কেনে তবে সবার পক্ষে চশমার গুণমান বিচার করে কেনা সম্ভব নয়। কারণ নামী সংস্থার কালো চশমার দামও বেশি হয়। অনেকেই নতুন ধরনের কালো চশমা কিনতে গিয়ে গুণমানের দিকে নজর দেন না। বিশেষ করে কেমন মানের কাচ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখেন না। ফ্রেমের গড়ন দেখেই কিনে নেন চশমা।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক নিম্নমানের কালো চশমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান করছেন। কারণ নিম্নমানের কাচ যে কালো চশমায় ব্যবহৃত হয়, সেগুলো চোখের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এমনকি এগুলো চোখের পাতার ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। সূত্র: আনন্দবাজার

নিম্নমানের কালো চশমা ব্যবহারে যে সব সমস্যা হতে পারে:
* নিম্নমানের কালো চশমায় কাচের বদলে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। টানা বহুদিন এ চশমা পরলে চোখে ছানি পড়তে পারে। কর্নিয়া শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকে ভোগেন। এ সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে কম দামের কালো চশমা। চোখের পাওয়ার বদলে যেতে পারে-এ ধরনের কালো চশমা পরলে। চোখের লেন্সের নানা ধরনের সমস্যাও হতে পারে এগুলোর কারণে। দৃষ্টিশক্তিও কমতে পারে।

নিম্নমানের চশমা পরলে, এর চেয়েও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নভেম্বর ০৪.২০২১ at ১০:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ