অজ্ঞান পার্টির হাত থেকে বাঁচার উপায়

ভ্রমণ পথে অযাচিতভাবে অপরিচিত লোকের সঙ্গে কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এর সুযোগ নিয়ে একদল প্রতারক তাদেরকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নেয়। শুধু জিনিসপত্র নিয়ে ক্ষান্ত যায় না, বেশিরভাগ সময় জীবনও হুমকির মুখে পড়ে।

তারা এতটাই ধূর্ত যে তাদের দেখে চেনার উপায় নেই। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে তারা ছদ্মবেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যেকোনো খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট অথবা স্প্রে বা মলম লাগিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে সুবিধামতো স্থানে সটকে পড়ে।

অনেক সময় অজ্ঞান ব্যক্তির মোবাইল দিয়ে তার নিকটাত্মীয়ের কাছে ফোন করে তাকে আটক রাখার কথা বলে বিকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে আরও নগদ টাকা দাবিও করে। এ চক্রের সঙ্গে নারী সদস্যও থাকে অনেক সময়। তারা স্বামী-স্ত্রী সেজেও যানবাহনে ওঠে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এসব চক্রের খপ্পর থেকে বাঁচার ১১উপায়:

১. ভ্রমণ পথে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা না দেওয়া।

২. পাশের সিটের লোকটি আপনার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে চাইবে এবং একসময় বিভিন্ন খাবার (কেক, চিপস, কোমল পানীয়, কাটা পেয়ারা বা আনারস ইত্যাদি) কিনে সেও খাবে আপনাকেও খেতে বলবে। ভুলেও সেই খাবার না খাওয়া।

৩. ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।

৪. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারো কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি না খাওয়া।

৫. বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে ভ্রমণের সময় চকলেট, আইসক্রিম, সিগারেটজাতীয় কোনো খাবার না নেওয়া। আজকাল ডাবের ভেতরে আগে থেকেই সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

৬. প্রয়োজনে যাত্রাপথে হালকা নাশতার জন্য বাড়ি থেকে সংগৃহীত খাবার বা পানীয় সঙ্গে রাখা অথবা স্থায়ী দোকান থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করা।

৭. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।

আরো পড়ুন:
ঢাকা-কক্সবাজার যাত্রায় গভীর রাতে বাসেই সন্তান প্রসব
কেন ডেঙ্গু এত ভয়ংকর

৮. যাত্রাপথে নগদ অর্থ বা যে কোনো মূল্যবান দ্রব্য নিরাপদ হেফাজতে রাখা।

৯. ভ্রমণের সময় পরিচিত কাউকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করা।

১০. যাত্রাপথে পাশের কোনো যাত্রী অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে যানবাহন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। আপনার একটু সহযোগিতাই পারে বড় একটা দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে।

১১. যাত্রাপথে কোনো ব্যক্তির আচার ব্যবহার সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করা।

সেপ্টেম্বর ২২.২০২১ at ১২:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ