অবাক করা এক যন্ত্র আবিষ্কার করল ভারত

সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পরিশোধন করে খাওয়ার উপযোগী করতে সক্ষম একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে ভারত। যন্ত্রটি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ লিটার পানি পরিশোধন করতে পারে। দীর্ঘসময় সমুদ্রে থাকা জেলেদের জন্য যন্ত্রটি কার্যকরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এটি পানির লবণাক্ততা দূর করার মেশিন। শুক্রবার মেশিনটি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের মঙ্গালুরু শহর কর্তৃপক্ষ। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পরিশোধন করে বিশুদ্ধ খাবার পানিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম এই ওয়াটার মেশিনটি সামুদ্রিক জেলেদের কথা চিন্তা করেই আবিষ্কার করা হয়েছে।

বেঙ্গালুরু শহর কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো মেশিনটি চালু করে দেখান। তারা জানান, যন্ত্রটি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ লিটার পানি পরিশোধন করতে পারে।

তারা বলেন, আমাদের জেলেদের কথা মাথায় রেখেই এই যন্ত্রটি বানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সমুদ্রে থাকা অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবে।

যন্ত্রটি লবণাক্ত পানি থেকে প্রথমে লবণকে শুষে নেয়। এরপর তা বিশুদ্ধকরণের জন্য ডিস্যালাইনেশন ইউনিটে পাঠায়। এরপর পরিশোধিত পানি খাবারের জন্য তৈরি হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় যারা সমুদ্রে কাটাবেন, যন্ত্রটি তাদের পানি সংকট কাটাবে। বিশেষত, এটি সামুদ্রিক জেলেদের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন: আবারো সমালোচনার মুখে বাদশাহ

সাধারণত নদী পাহাড় বা কোনো হৃদ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। সেই নদী অনেক অনেক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সাগরে পতিত হয়। আবার অনেক নদী অনেক দেশ ও পাড়ি দিয়ে থাকে। সুতরাং একটা নদীকে অনেক জায়গা অতিক্রম করতে হয়। আমরা জানি বৃষ্টির পানি হালকা অ্যাসিডিক হয়ে থাকে। কারণ বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে, অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বনিক অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।
তাই বৃষ্টিপাতের সময় পাহাড়ের শিলালিপি হালকা ক্ষয় হয় এবং এতে বিভিন্ন আয়নের সৃষ্টি হয়। এসব কিছুই নদীর পানির সঙ্গে মিশে যায়। এভাবে নদীর পানিতে অনেক ধরনের খনিজ লবণ জমা হয়। নদী সেগুলো নিয়ে সাগরে ফেলে।

নদীর পানিতে ও কিন্তু লবণ থাকে কিন্তু তা খুবই কম পরিমাণে। আমরা যে টিউবওয়েল থেকে পানি খাই সেটাতেও লবণ থাকে, কিন্তু তা খুব অল্প পরিমাণে।

আরো পড়ুন: রাজধানীতে ভিকারুননিসা স্কুলের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

এখন আসা যাক সাগরের বিষয়ে, আমরা জানি যে অল্প পরিমাণ পানিকে যদি খোলা জায়গায় রেখে যায় তাহলে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। আসলে এই বিষয়টা হচ্ছে স্বতঃবাষ্পীভবন। সাগর থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি তাপের প্রভাবে বাষ্প হয়ে এভাবে উড়ে যায়। আর লবণ এর ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এভাবে সমুদ্রের পানি লবণাক্ত হয়।

সেপ্টেম্বর ০৬.২০২১ at ১১:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সটি/জআ