৯৩৯ শিক্ষার্থীকে ৪৫ লক্ষ টাকা বৃত্তি দিলো জবি

করোনা মহামারির কারণে বিশেষ বিবেচনায় ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মেধা ও অবৈতনিক এই দুই শাখায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ৯৩৯ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। তালিকায় নাম প্রকাশিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি শাখা থেকে চেক গ্রহণ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর ও বৃত্তি শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইটে ও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে ৪০০ টাকা হারে ৯৩৯ জন শিক্ষার্থীকে বারো মাসের এককালীন ৪৮০০ টাকা দেয়া হয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত ৯৩৯ জন শিক্ষার্থীকে মোট ৪৫ লক্ষ ৭ হাজার ২শত টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি শাখা থেকে জানা যায়, বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ১৬ আগস্ট থেকেই বৃত্তি অফিস থেকে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি কেউ চেক সংগ্রহ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে নিজ বিভাগ অথবা বৃত্তি শাখায় যোগাযোগ করলে বৃত্তির চেক গ্রহণ করতে পারবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, প্রথম বর্ষ এর মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তি এবং করোনা মহামারির জন্য বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা একত্রে করে প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাকালীন বিশেষ বৃত্তি এ বছর প্রথম যা গত অর্থ বছর এ দেয়া হয়েছে। বিভাগগুলো থেকে যাদের নাম দেয়া হয়েছে, তাদেরকেই বৃত্তি দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ জুন করোনা মহামারির কারণে বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষাবর্ষের মোট শিক্ষার্থীর ৫ শতাংশের তালিকা পাঠাতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। ২৩ জুনের মধ্যে তা রেজিস্ট্রার দপ্তরে হার্ডকপি ও ই-মেইলে ([email protected]) সফট কপি পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বৃত্তি প্রাপ্তির বিবেচ্য বিষয়াবলির মধ্যে বাবার বার্ষিক আয়, মায়ের বার্ষিক আয়, অভিভাবকের বার্ষিক আয় (বাবার অবর্তমানে), বাবার চাকরি বা পেশার বিবরণ, মায়ের চাকরি বা পেশার বিবরণ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাবা ও মায়ের মৃত্যুসংক্রান্ত তথ্য, সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর মেধা ও উপস্থিতি এবং আচরণ, পরিবারের সদস্য সংখ্যা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীর কোনো ভাই-বোন অধ্যয়ন করে কি না এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষের কোর্স কো-অর্ডিনেটরের মতামত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:
সন্ধার পরে লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : বাংলাবাজার- শিমুলিয়া নৌরুটে
এমপি’র মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা

এছাড়াও গত ১৩ জুন ‘বৃত্তি নীতিমালা ২০১৩’ অনুসারে ২০১৯-২০ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের থেকে মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তির জন্য আবেদন চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের মেধা ও অবৈতনিক এই দুই শাখায় বৃত্তি জন্য অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। ও বৃত্তির আওতায় মেধা বৃত্তি ক্যাটাগরিতে প্রতি বিভাগে তিন জনকে মাসে চার শ টাকা হারে মেধা বৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেয়া হবে। তাছাড়া অবৈতনিক ক্যাটাগরিতে প্রতি বিভাগে শতকরা ১০ জন অস্বচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়া হবে। বিভাগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকলে তাদেরকে আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল। একজন শিক্ষার্থী যে কোনো একটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করার সুযোগ ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এক হাজার ১১৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মেধা ও অবৈতনিক বৃত্তি দেয়া হয়। এদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ৩০৭ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৭১০ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০ জনকে মেধাবৃত্তি ও ৫৯ জনকে অবৈতনিক বৃত্তি দেয়া হয়েছিল।

আগষ্ট ১৭.২০২১ at ১২:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জআ