থানচিতে দুর্গম দুই ইউনিয়নের টিকা গ্রহনের পর নিবন্ধন

বান্দরবানে থানচিতে ৭ ই অগাস্ট থেকে সাপ্তাহিক ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ বছরে উর্ধ্বে সকলকে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে পুরো উপজেলা এলাকায় অলিগলি ও গ্রামাঞ্চলে প্রচার চলছে। উপজেলা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট বিহীন রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নের ভোটার আইডি কার্ড দেখে টিকা দেয়ার পর গ্রহীতার নাম নিবন্ধনের পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন।

এদিকে উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, গণসচেতনতা জন্য বাজারে মাইকিং, মাস্ক পড়া, হ্যান্ড সাইনিটাইজার ব্যবহার, হাত ধোঁয়া নিশ্চিত করাসহ করোনা ভ্যাকসিন জিরো টলারেন্স নিয়ে আসার জন্য প্রচার প্রচারণা চলছে। সরকারে ঘোষিত ৭ ই আগস্ট থেকে সাপ্তাহিক ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল শ্রেনীর পেশা জনগণ এই টিকা গ্রহন করা যাবে। উপজেলায় ১৮ বছর উর্ধ্বে সকলকে করোনা ভ্যাকসিন টিকা গ্রহনের জন্য আহব্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৪টি ইউনিয়নের ৪টি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এছাড়াও দুর্গম সীমান্ত এলাকায় বড় মদক, ছোট মদক, রেমাক্রী বাজারে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে ক্যাম্প স্থাপন করে ৭,৮,৯ আগস্ট এবং ১০,১১,১২ আগস্টে উপজেলা সদর, তিন্দু ও বলিপাড়া ইউনিয়ন ১৮ বছর উর্ধ্বে সকলের জন্য সদর ইউনিয়নের পরিষদ ভবন ও সদর ইউনিয়নের সকলে জন্য থানচি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করে করোনা ভ্যাকসিন টিকা সেবা প্রদান করা হবে বলে সিন্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে উপজেলা দুর্গম রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা জানান, দুর্গম নেটওর্য়াকহীন রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭ ই থেকে ৯ ই অগাস্ট পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বড়-মদক, ছোট-মদক ও রেমাক্রী বাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে টিকাকেন্দ্রে স্থাপন করে করোনা ভ্যাকসিন টিকা দেয়া হবে। দুর্গম ইউনিয়নের ১৮ বছর উপরে জনগণ সকলকে টিকা গ্রহনে আহব্বান জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা জানান, উপজেলায় দুর্গম ইন্টারনেট বিহীন দুই ইউনিয়ন মধ্যে তিন্দু ইউনিয়নের ১৮ বছরে উপরে জনগণে সকলে আইডি কার্ড দেখে উপজেলা সদরে টিকাকেন্দ্রে টিকা সেবা প্রদান করবে। রেমাক্রী ইউনিয়ন দুর্গম সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করে করোনা ভ্যাকিসন টিকা দেয়ার হবে।

তিনি আরো বলেন, তিন্দু ইউনিয়নের ১৮ বছরে উর্ধ্বে জনগণ সকলে ভোটার আইডি কার্ড দেখে সদর ইউনিয়ন ভবনে টিকা সেবা দেয়ার হবে। পরে তাদের নাম নিবন্ধন করা হবে। যেন তারা দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারে এই ব্যবস্থা পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী জানান, থানচি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে প্রথমে দুর্গম এলাকায় সীমান্তে ১টি ইউনিয়নে ৩ দিনের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। বাকি ৩টি ইউনিয়নের জনগণ সকলকে উপজেলা সদরে টিকা কেন্দ্রে করোনা ভ্যাকিসন টিকাদানে আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, এই দুর্গম ইন্টারনেট বিহীন রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নে লোকজনদের শুধু ভোটার আইডি কার্ড দেখে টিকা দেওয়া হবে। পরে উপজেলা সদরে এসে তাদের নাম নিবন্ধন করা হবে বলে জানান তিনি।