চুয়াডাঙ্গা’র দামুড়হুদা থানাধীন সুবলপুর গ্রামের মোঃ বেল্টু (২৮) এবং দর্শনা থানাধীন সদাবরী গ্রামের বর্না খাতুন (২৪) ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ২০১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে তানজিল হোসেন(৫) নামে একটি শিশুপুত্র জন্মগ্রহণ করে।
সুখে স্বাচ্ছন্দে চলছিল তাদের সুখের সংসার। স্বামী-স্ত্রীর সামান্য মতবিরোধ ও মান-অভিমানের কারণে সুখের সংসারে ভাঙ্গন ধরে। বেল্টু সিদ্ধান্ত নেয় বিচ্ছেদের। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের ঘটনা সংক্রান্তে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপারের দিক- নির্দেশনায় ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর মধ্যস্থতায় এএসআই মোসলেম উদ্দিন উক্ত অভিযোগের তদন্তভার গ্রহণ করে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
তিনি উপলব্ধি করেন তানজিল নামের শিশুটি কোথায় দাঁড়াবে? কার কাছে থাকবে? নিস্পাপ শিশুটির কি অপরাধ? দীর্ঘ একমাস পূর্বের সুখময় জীবন ফিরিয়ে দিতে আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে স্বামী স্ত্রী তাদের ভুল বুঝতে পারেন। একপর্যায়ে তারা ফিরে পায় তাদের সুখের সংসার এবং অবুঝ শিশু তানজিল ফিরে পায় তার বাবা মাকে।
আগষ্ট ০১.২০২১ at ১৭:৪১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মতর/জআ