কামরাঙ্গীরচরে বিস্ফোরণ: বাবা-মায়ের পর এক মেয়ের মৃত্যু

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর আহসানবাগ এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর মারা গেছে এক মেয়ে।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দম্পতির মেয়ে আয়শার (৬) মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।

এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার বাবা অটোরিকশাচালক স্বামী আ. মতিন (৪০)। তার শরীরের ৯২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তা ছাড়া শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া শুক্রবার (৯ জুলাই) মারা যান আ. মতিনের স্ত্রী ময়না। তিনি ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের আরেক মেয়ে মায়শা ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে।

শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে আহসানবাগ সিলেটি বাজার কাজি গলিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন- ইজিবাইক চালক আ. মতিন (৪০), তার স্ত্রী গৃহিণী ইয়াসমিন আক্তার ময়না (৩৫), দুই মেয়ে আয়শা (৬) ও মায়শা (১০) এবং ময়নার ভাগনে আবুল খায়ের রায়হান (২৫)।

১৮ শতাংশ দগ্ধ রায়হানকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধ রায়হান নিজেই জানান, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করেন। ওই বাসায় তার মা থাকলেও তিনি অন্য খানে থাকেন। শুক্রবার তিনি ওই বাসায় মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। রাতে মতিনের পরিবারে একটি পাশের রুমে ছিলেন তিনি।

ভোরে যখন তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট শব্দে একটা বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে গেলে চারদিকে আগুন দেখতে পান তিনি। বিস্ফোরণে রুমের দরজাও ভেঙে গেছে। পরে তারা দৌড়ে বাসায় বাইরে চলে যান। তবে এর আগেই তাদের শরীর পুড়ে যায়।

আরো পড়ুন:
নওগাঁর রাণীনগরে বিদ্যুৎ স্পর্শে একজন নিহত আহত-৩
চৌগাছায় শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান

তিনি বলেন, মতিন প্রতিদিন বাসাতেই অটোরিকশা চার্জ করত। অটোরিকশাটি বাসার বাইরে রেখে তার চার্জার রুমের ভেতরে বিদ্যুতের সঙ্গে সংযোগ করত। সেই চার্জার থেকেই ভোরে বিস্ফোরণে এই দগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে কখনও ওই বাসায় এই রকম ঘটনা ঘটেনি।

জুলাই,১৪.২০২১ at ১০:৫০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর