থানচিতে সদর হাসপাতালে জনবল সংকটের স্বাস্থ্য সেবা পেতে ভোগান্তিতে উপজেলাবাসীর

বান্দরবানে থানচিতে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে পদ শুন্য থাকায় কোভিড-১৯ করোনা, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা এর হাসপাতালে কর্মকর্তাসহ ১৩জন চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু ৪জন রয়েছে, তার মধ্যে একজনকে চট্টগ্রামে প্রেষনে পাঠানো হয়। ৮ জন চিকিৎসক শূন্য রয়েছে।

সিনিয়র-জুনিয়র নার্স ১৪ জনের কর্মস্থলে ৭জন রয়েছে, মাতৃত্বকালীণ ছুটিতে ২জন, শূন্য পদ ৫জন , ল্যা্ইপ টেকনিশিয়ান ২ জনের মধ্যে ১জন শূন্য, মেডিকেল টেকনোলজিক ষ্টোর কিপার ১জন শূন্য, ফার্মাসিষ্ট ২জনের মধ্যে ১জন শূণ্য অন্যজন ও রাঙামাটিতে প্রেষনে আছে। স্বাস্থ্য সহকারী ১৩জনের কর্মস্থলে ৮ জন, ৫ জন শূন্য, ক্যাশিয়ার ১জন শূন্য, ষ্টোর কিপার ২জন শূন্য। সর্বমোট ২৪টি পদ শুন্য রয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিৎত করেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক ৪জনের মধ্যে চিকিৎসক ডাঃ মজ্ঞুরুল ইসলাম চট্টগ্রামে প্রেষনে আছে। আমরা দুইজন এক মাসের ১৫দিন করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। কষ্ট হলেও কিছু করার নেই আমাদের।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি অবস্থায় একজন চিকিৎসক দিয়ে সকল রোগীদের দেখভাল করতে দেখা যায়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল কম থাকায় উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা পেতে চরম ভোগান্তির পড়তে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পদগুলি শূন্য থাকায় বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে আমরা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরেও সরকারী আদেশ মেনে উপজেলাবাসীদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে সবসময় প্রস্তুত আছি আমরা।

আরো পড়ুন:
কেশবপুর পৌরসভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিট পুলিশের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
কেশবপুরে লকডাউনে কর্মহীন অসহয় মানুষের মাঝে ইউপি সদস্য কামালের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে সরকার আমদানীকৃত চিনের করোনা ভ্যাকসিন এসেছে। কর্মস্থলে চিকিৎসক কম হওয়ায় করোনা, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, ভাইরাস জ্বর, পেট ব্যাথা, কাঁশি, সর্দিসহ নানান রোগে চিকিৎসা সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমি মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ জন্য আবেদন করছি বলে জানান তিনি।

জুলাই,১২.২০২১ at ১০:২২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর