কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে সড়কে বেড়েছে যানবাহন ও মানুষের সমাগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও রোধ করা যাচ্ছে না মানুষের অহেতুক চলাচল। জরিমানা এবং আটকের বিধান থাকার পরও নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হন সাধারণ মানুষ।
কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে রাজধানীর চিত্র কিছুটা বদলেছে। সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও যানবাহনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনার প্রতিদিন মৃত্যুহার লাফিয়ে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন অনেকেই। প্রয়োজন ছাড়া চলাফেরার জন্য রয়েছে নানা অজুহাত। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে দিচ্ছেন ভুল তথ্যও।
ঢাকার প্রবেশের প্রধান ফটকেও রয়েছে কঠোর নজরদারি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বলছে, অপ্রয়োজনে বের হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না৷ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানাও।
ট্রাফিক ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, ‘প্রত্যেকটা গাড়ি আমরা চেক করে, যথাযথ কারণ যাচাই বাছাই করে গাড়িগুলো ছাড়ছি।’
এদিকে, নগরীর অলি গলিতে চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে র্যাব সদস্যরাও। বিধিনিষেধ অমান্য করেছে প্রায় সাত শতাধিক লোককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আর প্রায় ৬ লাখেরও বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। তা শেষ হবে বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে।