লকডাউনের প্রথমদিনেই বাড়তি দামে মাছ, মাংস ও সবজি

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস ও সবজি।

বিক্রেতারা জানান, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মাংসের দামও কিছুটা বাড়তি।

আবার ক্রেতারা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই মৌসুমি সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। মূলত লকডাউনের কারণে মাছ-মাংসসহ সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে।

আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বেশি হচ্ছে ৮০০ টাকা দরে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ও লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আর বয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার একটু বাড়তি রয়েছে। প্রতি কেজি রুই আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, কাতল (বড়) ৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৫৫০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, নদীর মাঝারি চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, কৈ ২০০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, শিং (দেশি) ৮০০ টাকা ও চাষের ৪০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০, বড় রূপচাঁদা ৯০০ টাকা এবং মাঝারি আকারের বেলে মাছের কেজি ৮০০ টাকা।

এছাড়া, গত সপ্তাহের চেয়ে বৃহস্পতিবার সবজির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৭০ টাকা, পোটল ৫০, গাজর ৫০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

সকালে বাজার করতে আসা ফয়সাল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ মাংসসহ সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম বেশি বেড়েছে।

তবে সবজি বিক্রেতা সালাম মিয়া, সরবরাহ কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা মনির বলেন, সরবরাহ কম থাকায় মাছ ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।

মধুবাগ কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা শাকিল বলেন, লকডাউনের কারণে গরুর মাংস একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাংসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম রয়েছে। এছাড়া গরু আনা-নেয়া সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ বেড়েছে।

ক্রেতা আতিক বলেন, সরবরাহের দোহাই দিয়ে সব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।