ফর্সা ত্বক পেতে দুধের ব্যবহার

ত্বকের যত্নে নারীরা নানা প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সচরাচর প্রসাধনীতে দুধের ব্যবহার হয় না। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকেই রুপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দুধ।

এতে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের শুষ্ক ও তৈলাক্ততা দূর করে। দুধে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ত্বকের গভীরে পৌঁছে পুষ্টি জোগায়। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও কাজ করে দুধ। ব্রণপ্রবণ ত্বকের যত্নেও কাঁচা দুধ উপকারী। নিয়মিত দুধ ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে, এমনকি ব্রণের দাগও দূর হয়। দুধে থাকা ভিটামিন ডি ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে। ফলে বার্ধক্য এবং বলিরেখা কমে, ত্বক উজ্জ্বল হয়, দাগ এবং ব্রণ দূর করে।

এ ছাড়াও দুধে ভিটামিন বি-৬ আছে, যা নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। দুধে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন বি-১২ ত্বকের ছুলি দূর করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সব উপাদানই ত্বক সুস্থ রাখে।

জেনে নিন দাগহীন কোমল ও ফর্সা ত্বক পেতে দুধের ব্যবহারবিধি-
কাঁচা দুধ ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকে বিভিন্ন ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ব্ল্যাকহেডস এবং ব্রণ থেকেও মুক্তি মেলে ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহারে। একটি কটন বল কাঁচা দুধে ডুবিয়ে নিয়ে ত্বকের ব্যবহার করুন। মুখে সমানভাবে ব্যবহার করুন। এতে রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়বে।

আরো পড়ুন:
লকডাউনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
পেকুয়ায় ভিজিডির উপকারভোগীদের সঞ্চয়ী অর্থ লোপাটের অভিযোগ

প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে দুধ। ফলে ত্বক থাকে আর্দ্র। একটি কটন বলে কাঁচা দুধ নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করলে সারাদিন ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ত্বকের সানট্যান দূর করে দুধ। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দূর করে এবং ত্বকে জমে থাকা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এজন্য একটি পাতলা সুতি কাপড় কাঁচা দুধে ভিজিয়ে ত্বকের সানট্যান পড়া স্থানে কিছু সময়ের জন্য রাখুন।