লালমনিরহাটে পাট ক্ষেত থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টার সময় লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বসুনিয়াটারির(খামার) নামক এলাকায় পাটক্ষেত থেকে জেলেকা খাতুন(২৭) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহত জেলেকা গোকুন্ডা ইউনিয়নের বড় মসজিদ সংলগ্ন ফকিরটারি গ্রামের মরহুম দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার এলাকার কয়েক জন নারী পাটক্ষেতে ঘাস কাটতে গিয়ে ওই মরদেহ দেখতে পায়। মহিলারা খানাঘুষা করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কানে গেলে ঘটনাস্থলে চৌকিদার পাঠানো হয়। চৌকিদার ঘটনার সত্যতা জানালে ইউনিয়ন পরিষদে থেকে সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থকে মরদেহ উদ্ধার করে লাশ মর্গে পাঠায়।

পারিবারিক ভাবে জানাযায়, প্রায় ৭-৮ বছর আগে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর সঙ্গে জেলেকার বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এরপর প্রায় একবছর পূর্বে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হলে মাসখানেক আগে কুড়িগ্রামের মনজু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। নিহত জেলেকার নানী বলেন, দ্বিতীয় স্বামী মনজু জুয়া খেলার কারণে তাদের বনিবনা ছিলনা। মনজু ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার টাকা) দাবি করে। সেজন্য জেলেকা তার গহনাপাতি নিয়ে একা ৪-৫ দিন আগে তার স্বামীর বাড়ি কুড়িগ্রামে য়ায়। স্বামীর বাড়িতে কিছুদিন থেকে ঢাকা গার্মেন্টসে যাওয়ার কথাছিল। এরপর আজ তারা তাদের মেয়েকে পাটক্ষেতে মৃত দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে ২ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনা এক মামলার আসামী কারাগারে অন্য মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে
চিতলমারীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় দুই মাধ্যমিক বিদ্যালয়

গোকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,নিহতের ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে জিঙ্গাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ভাবে রতিপুর বসুনিয়াটারীর সৈয়দ মাষ্টারের ছেলে আলমগীর কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।