দেশের আইন আদালত উঠে যায় নাই বরং এর আধুনিকায়ন হয়েছে। ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বা বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তির উপর একজন মানুষের অধিকার এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইন বিদ্যমান। সুতরাং আমার লেখা কেউ চুরি করলো আর তাতে আমি মানসিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলাম এটা হতেই পারে না। কেউ লেখা চুরি করলে মামলা দিবো। আমার সাথে যখন কারো কোন স্ক্রিপ্ট বা কমার্সিয়াল লেখার ডিল হয় আমি তার যাথেষ্ট প্রমাণাদি সংগ্রহে রাখি।
কারো সাথে কোন স্ক্রিপ্ট আদান প্রদান হলে তার রেকর্ডও থাকে সংগ্রহে৷ আমি আমার সমসাময়িক অনেক স্ক্রিপ্ট রাইটার কে আফসোস করতে দেখেছি যে তাদের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট পরিমার্জন পরিবর্ধনের মাধ্যমেও কাজ হচ্ছে কিন্তু তারা বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্য সম্মানী থেকে। আমি এই আফসোসটা করতে চাই না। আমি এ ধরনের অন্যায় দেখলে নিশ্চিতভাবে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করি এবং সবসময় করবো৷ অন্যদেরকেও অনুরোধ করবো আপনার নিজেদের মূল্য বুঝুন এবং পেশার প্রতি সম্মান রেখে সঠিক পদক্ষেপ নিন ৷
আপনি আপনার অতি মহত্বের সুযোগ কাউকে নিতে দিলে সে একই পদ্ধতিতে অন্য কারো কাছ থেকেও এই সুযোগ নিবে। সুতরাং আপনি আপনার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির যথাযথ অর্থনৈতিক মূল্য বিবেচনা করে নিজের অধিকার পূর্নরূপে আদায় করুন। প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নিন। এতে করে আপনার উন্নত জীবন নিশ্চিত হবে এবং সমসাময়িক অন্য লেখকেরাও লিখতে আগ্রহ পাবে। পেশাগত নিরাপত্তাটা আসলে এখানেই যে আপনি যে পেশায় নিয়োজিত সেখানে মানি জেনারেট হয় অর্থাৎ সুষ্ঠ অর্থনৈতিক আদান প্রদান আছে।
লেখক: আহমেদ সাব্বির, চলচ্চিত্র নির্মাতা