আরো ২৩ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে মামুনুলকে

হেফাজত নেতা মামুনুল হক।

মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ মামলায় রিমান্ড শেষ হলে আরও ২৩টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ডিবিও মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু ব্যাপারে মামুনুলের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার অনেক প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। আবার কিছু ব্যাপারে নিজের দায় স্বীকার করছেন তিনি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে মামুনুল পুলিশকে বলেন, ওই সময় ছোট নেতা ছিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তাই ওই নাশকতার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।

এরপর গোয়েন্দারা তার কাছে জানতে চান, যদি ২০১৩ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা না থাকে তাহলে কেন শাপলা চত্বরের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। ওই মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের উদ্দেশে হুঙ্কার কেন দিয়েছিলেন তিনি। এসব প্রশ্নে মামুনুল কোনো সুদুত্তর দিতে পারেননি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এপ্রিল ২৪, ২০২১ at ১১:৪৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এমআরএইস