মতলব উত্তরে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছে কেউ মানছে না

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে উদ্বেগ। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ধীরে ধীরে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’- নীতি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মাস্ক পরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের সমন্বয়ে দেশব্যাপী অভিযান চললেও করোনা নিয়ে বাড়ছে অসচেতনতা ও অবহেলা। করোনার ঝুঁকির কথা ভুলতে বসেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অনেক মানুষ। উপজেলার  হাটবাজার, গণপরিবহন এবং রাস্তাঘাটে ক্রমেই ম্লান হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সরোজমিনে ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য সচেতনার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। মাস্ক না পরতে দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। মাস্ক ছাড়াই চলছে অধিকাংশ কাজ।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখাযায় মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ছেংগারচর বাজার, নতুন বাজার, সুজাতপুর বাজার, বেলতলী বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই অনেকে ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছে থুতনিতে। গণপরিবহনের শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মধ্যে অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই।
ছেংগারচর বাজারে রিকশাচালকরা বলেন, সারাক্ষণ যাত্রীরা ওঠানামা করছে। মাস্ক পরলেও করোনা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না বলে তার ধারণা। তাই মাস্ক খুলে রেখেছেন।  এই চৈত্রের দাবদাহ গরমে  মাস্ক পরে রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। তাই জরিমানার ভয়ে পকেটে ও থুতনিতে মাস্ক রেখে আমরা রিক্সা চালাই।
ছেংগারচর বাজারের অটো স্ট্যান্ডের লাইন ম্যান মো. মানিক মিয়া বলেন, আমি লাইন ম্যান হিসেবে প্রত্যেক অটোরিকশার ড্রাইভার ও যাত্রীদেরকে মাক্স পরার জন্য আহ্বান জানাই, কেউ মানছে কেউ মানছে না।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন করোনার ভ্যাকসিন আসার পরেও মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এই তিনটি কাজের বিকল্প নেই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি যে কোনো সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। মাস্ক পরা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
‘মাস্ক পরার অভ্যাস-কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে আমরা মতলব উত্তর থানা পুলিশের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ উদ্ভুদ্ধকরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নেহাশিস দাশ বলেন,   মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য সচেতন হতে ইতোমধ্যে সরকারের নির্দেশনা পেয়েছি। করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এরপরও যারা মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে না ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।