বসতি উচ্ছেদ না করে সড়ক সম্প্রসারন করার দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

কক্সবাজারের বরইতলি-মগনামা সড়কস্থ সাব-মেরিন নৌঘাঁটি পর্যন্ত বানৌজা শেখ হাসিনা সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

বর্তমান আ’লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৩৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ মহাসড়কটির কাজ শেষ হলে চকরিয়া-পেকুয়াবাসীরা উন্নয়নে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তবে লঞ্চঘাট ষ্টেশন থেকে সাব-মেরিন নৌঘাঁটি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ করতে গিয়ে প্রায় তিনশত পরিবার উচ্ছেদ আতংকের মধ্যে রয়েছে।

এই এক কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ করতে চাইলে পশ্চিম পার্শ্বে যতেষ্ট খালি জায়গা পড়ে আছে। এ জায়গা দিয়ে সড়কটি সম্প্রসারণ করে উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিলে তিনশত পরিবার চরম দুর্ভোগ থেকে বেঁচে যাবে। এর আগেও ৭৪ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে এখন দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন।

বুধবার (১০মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ওই বেড়িবাধেঁর উপর দাঁড়িয়ে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে শতশত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সড়কটি পশ্চিম পার্শ্বে সম্প্রসারণের দাবী জানান।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিচ্ছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পেকুয়ার মগনামায় হচ্ছেন বাংলাদেশের বৃহত্তর সাব-মেরিন নৌঘাঁটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে শতশত মানুষ তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও উন্নয়ন প্রকল্প হলে ঘর বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য জনগণ প্রস্তুত আছে। এরই মাঝে শুরু হয়েছে ৩৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলি থেকে সাব-মেরিন নৌঘাঁটি পর্যন্ত বানৌজা শেখ হাসিনা সড়কের কাজ।

লঞ্চঘাট ষ্টেশন থেকে সাব-মেরিন পর্যন্ত পূর্ব পার্শ্বে এক কিলোমিটার জায়গায় প্রায় তিনশত পরিবার বসবাস করে থাকে। সড়কটি সম্প্রসারণ করতে গিয়ে তিনশত পরিবার উচ্ছেদ আতংকের মধ্যে রয়েছে। অথচ সড়কটি সম্প্রসারণ করতে চাইলে পশ্চিম পার্শ্বে অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে। ঠিকাদার চেষ্টা করলে সড়কটি পশ্চিম পার্শ্বে নিয়ে গেলে কোন ধরণের অসুবিধা হবেনা। এটি করলে শতশত জেলে পরিবার ও অসহায় পরিবার দুঃখ ও দূর্বিসহ জীবন থেকে বেঁচে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সাব-মেরিন ষ্টেশনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ জায়গা চাইলে ছেড়ে দিতে বাধ্য সবাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কখনো চাইনা অসহায় মানুষ উচ্ছেদ হউক। যার কারণে লক্ষ লক্ষ অসহায় পরিবারকে নিজ খরচে ইতোমধ্যে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। ঘরবাড়ি হারা কোন মানুষ থাকবেনা ও উচ্ছেদ হবেনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেও কিছু সুবিধাবাদী লোক নিজ স্বার্থের জন্য অসহায় মানুষগুলোকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে।

এমপি জাফর আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চেয়ারম্যান আরো বলেন, আপনি হলেন চকরিয়া-পেকুয়া অভিভাবক। আপনার উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমরা চকরিয়া-পেকুয়াবাসী অনেক খুঁশি। ইতোমধ্যে আপনি মগনামায় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আপনি চাইলে সড়কটি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে সম্প্রসারণ করা অতি সহজ হবে। অসহায় মানুষগুলো আপনার দিকে চেয়ে আছে। আপনি মগনামার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন তিনশত পরিবারকে রক্ষা করুণ।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ, ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ বদ, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য আজিজুল হক, লঞ্চঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল, ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম, ভুক্তভোগী আবদুল খালেক ও ভুক্তভোগী মামুন।

মার্চ ১০, ২০২১ at১৭:৪১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমজে/এমআরএইস