নোয়াখালীর বসুরহাটে চলছে ১৪৪ ধারা জারি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য। রাত পৌনে ১১টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলা উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আলাউদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধরা হলেন মো. রাজিব, মাঈন উদ্দিন, শাহ আলম, আলা উদ্দিন, হৃদয়, দেলোয়ার হোসেন, সোহেল, শাহাদাত হোসেন, আরাফাত হোসেন, বেলাল হোসেন সেলিম।

অপর আহতরা হলেন সাহাব উদ্দিন, জনি, সেলিম, ওয়াহিদ কামাল, রিপন, রফিক চৌধুরী, ফিনন চৌধুরী , দিপু, সুমন, আরিয়ান শিপন, শরীফ উল্যাহ টিপু, মানিক, শরীফ, আল মাহাদি, রাজিব হোসেন রাজু, নবায়ন হোসেন, আদনান শাহ, সালা উদ্দিন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, এসআই জাকির হোসেন, নিজাম, কনেস্টবল খোরশেদ, আলা উদ্দিন, আবুল কালাম।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।

মার্চ ১০, ২০২১ at১১:০৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এমআরএইস