বাদ ২৫ প্রার্থী, ৪১তম বিসিএস নিয়ে পিএসসির নতুন নির্দেশনা

৪১ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ২৫ পরীক্ষার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এর ফলে আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না তারা। এদিকে পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি।

পিএসসি জানিয়েছে, অনলাইন আবেদনপত্র জমাদানকারী ২৫ জন পরীক্ষার্থী তাদের বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়া পরেও আবেদন করেছেন। ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৩ দশমিক ৪ এবং ৮ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্ত না মানায় এই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রিলিমিনারি টেস্টে (এমসিকিউ টাইপ) বই-পুস্তুক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ্য কোনও ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগসহ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়াও পরীক্ষা হল গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেট্রনিক ডিভাইজসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাসির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধসমগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনও আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হেয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শসহ আগে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে বর্ণিত নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিধিভঙ্গের কারণে পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নেয়া সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জমা দেয়া হয়। প্রার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টা। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর, তবে ভুল উত্তর দিলে ০.০৫ নম্বর কাটা যাবে।