মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত ৫

বিক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমার। দেশটিতে তুমুল জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের গুলিতে আরও অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন অর্ধশতাধিক। অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে গত এক মাস ধরে চলে আসা বিক্ষোভে একদিনে সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটেছে এদিন। খবর রয়টার্সের।

দেশটির রাজনীতিক এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার সকালের দিকে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে শিক্ষকদের বিক্ষোভে স্টান গ্রেনেড, গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন নারী নিহত হয়েছেন। এর আগে, সামরিক শাসনের অবসানের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটে। এদের মধ্যে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দাওয়েই শহরে অন্তত তিন জন এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের বাগো এলাকায় এক জন প্রাণ হারান। তবে বাগো এলাকায় দুজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি দাতব্য সংস্থা। শহর এ নিয়ে দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনের প্রাণহানি ঘটল। এ দিন রাজধানী নেপিদো, ইয়াঙ্গুল ছাড়াও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাসিও এবং দেশটির একবারের দক্ষিণের মায়েক শহরে পুলিশ ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়।

আগের দিন শনিবারও জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দেশটির দাওয়েই শহরে, বিক্ষোভকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করতে গেলে বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। এ ছাড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যান্দালয়ে এদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও। এ সময় হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার দিয়ে জান্তা সরকারবিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১ at১৮:০১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এমআরএইস