নাইক্ষ্যংছড়িতে দুইটি কালভার্টের মাঝে বন্দী দুই গ্রামের মানুষ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে ২ং ওয়ার্ডে দুইটি কালভার্টের মাঝখানে বন্দী হয়ে আছে দুইটি গ্রামের হাজারো মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমান ও সাবেক দুই চেয়ারম্যান এর মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বাগানঘোনা হইতে দক্ষিণ বিছাঁমারা পর্যন্ত রাস্তাটিতে ১ কিঃমিঃ এর ব্যবধানে দুটি কালভার্ট ভেঙে অভিভাবকহীন ভাবে পড়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে সামান্য মাটির কাজ করলেও বর্তমানে ছোট্ট দুটি কালভার্ট এর জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্নভাবে আছেন তারা।এই এলাকায় বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ-ই কর্মজীবী ও কৃষক। উর্ভর পাহাড়ে পষলিত কলা,লেবু,পেঁপে ও সবজি গুলো বাজার জাত করতে যেইখানে মাত্র ৫০ টাকা গাড়ি ভাড়া সেইখানে গাড়ি যোগাযোগ বিচ্চিন্নের কারণে একই মাল বাজার জাত করতে খরচ হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা।

স্থানীয় আবু নাসের, আব্দুল খালেক, শেখ আহমেদ সহ অনেকেই জানান উপজেলা সদরে এমন বিচ্ছিন্ন গ্রাম মনে হয় আর নেই। কারণ সামান্য দুটি কালভার্ট এর জন্য গাড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক সময় মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রুগি মাত্র ২কিঃ মিঃ ব্যবধানে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছাতে না পারায় পথের মধ্যে ডেলিভারি বা মৃত্যূবরণের আসংখ্যা রয়েছে। একই ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়েজ আহমেদ জানান উপজেলা সদরে অবস্তিত দুটি গ্রামের এই রাস্তাটি অবহেলিত। এই রাস্তাটির সংস্কারের মাধ্যমে গাড়ির যোগাযোগ উপযোগী হলে বারবে শিক্ষার হার। কারণ বর্ষাকালে পাহাড়ি ডলের পানিতে রাস্তাবিলীন ও পশ্চিমে খাল পার হতে না পারায় শত শত স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়োয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অপর দিকে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পসলাদির ন্যাজ্জ্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। তাই দুটি কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে গাড়ি চলাচলের উপযোগী হলে এই এলাকার উৎপাদিত ফসলাদির রাজস্ব পাবে সরকার। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার (ইমন) জানান, রাস্তাটি সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণে তার আন্তরিকতা রয়েছে। বক্স কালভার্টটি নির্মাণে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার মাধ্যমে করা হবে। আর কালভার্টটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে শীঘ্রই নির্মাণ করা হবে বলে জানান।

জানুয়ারী, ২৭, ২০২১ at ১৭:৫০:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএকে/এমআরএইস