অধ্যক্ষ গোপাল হত্যা, ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড

চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন-তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন ও আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান রোডের বাসায় গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওইদিন তার স্ত্রী রেলওয়ের তৎকালীন অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পরে এ মামলায় আসামি নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর এবং তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এছাড়া আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল এবং শাহাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর বিধি অনুযায়ী বিচারিক আদালত থেকে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত গিট্টু নাসির ক্রসফায়ারে মারা যান। মারা যান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছোট সাইফুলও।

পরে হাইকোর্ট আপিলের শুনানি শেষে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত শাজাহান খালাস পান। বাকিদের সাজাও বহাল রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আপিল বিভাগ তিন আসামির আপিলের শুনানি নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন।

০৬ অক্টোবার, ২০২০ at ১২:৩৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ডিডি/এমএএস