সৈকতে সূর্যের খেলা

চোখের সামনে ঘটে গেল। বসে ছিলাম। নির্মল বাতাস।সমুদ্রের ঢেউ। আকাশ, বাতাস, পানি, সূর্য, বালি, দিগন্ত, সব কিছুই ভাল লাগতে ছিল। চোখের সামনেই সূর্য অস্ত। চেয়ে চেয়ে দেখতে হল। ঠেকানোর চেষ্টা কেউ করতে পারবে না। শুধুই দর্শক।

মজার ব্যাপার হল চোখের সামন মাথার উপর থেকে নীচে, পানির মধ্যেই সূর্য ডুবে গেল। কিছুক্ষন থাকলাম। তারপর আমি কেন অনেক ই চলে আসল। অন্ধকার আসল।সাগরের ঢেউ, সৈকতের আনন্দ উৎসবে বিরতি। সবাই চলে গেল।

আলো না থাকা, সূর্য না থাকলে, অসময়ের সময়ে কেউ থাকে না। কিছুই দেখে না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত অন্ধকারে ফাঁকা।

এ কঠিন খেলা। সূর্যের অস্ত!বৃহৎ শক্তির প্রস্থান। নতুন কি আমাদের পাশ থেকে ও শক্তিমান কেউ সরে গেলে তখন কারখানা হয় কারাগার।

হাজার রকমের পরীক্ষা আর পাহাড় সমান বৈতরনী পাড় হতে হয়। শত শত যোগ্যতার ক্ষত তৈরি হয়। মানুষ হয়ে যায় অন্ধকারের অন্ধ।

অনেকেই তার জীবনের উত্থান পতন দেখছে এভাবেই সূর্য অস্তের মত। এক বার অন্ধকারে পড়ে গেলে বার ঘন্টা কেউ খবর নিবে না। পরবর্তী বার ঘন্টায় জেগে উঠতে না পারলে এমনি করে সূর্য মামার অপেক্ষায় থাকতে হয়।

সূর্য মামারা তো সূর্যের নিয়মে চলে না। সৈকতের সাধুরা তো ঢেউ দিয়ে মনোরঞ্জন করে না।

আর জীবন টা তো সৈকতে বসে থাকার ফলাফল নয়।বহুদিনের অর্জিত জ্ঞান আর বিশ্ব ব্রম্মান্ডের পথ যদি কেউ বিচ্যুত হয় ।

তাকে সৈকতের জোয়ার ভাটার তাল ধরতে হয় ঐ সূর্যের আলো দেখে দেখে। তাছাড়া আগে কি সাফল্য ছিল কেউ দেখে না। সবাই চেয়ে চেয়ে সূর্য ডুবে যাওয়া দেখে ।

আমার মত দুই এক জন আছে হয়ত তারা লিখে লিখে রাখে।