ছোট্ট আবরার

ছোট্ট ছিলাম আমি, বলতে পারতাম না কথা
তাইতো তুমি শিখেয়েছিলে সেই মধুর বার্তা ।

বড় হয়ে বলতাম আমি হবো প্রকৌশলী
মা, বলতে তুমি তবে বাবা করো তাহলে ভালো করে অংক অনুশীলনী।

আমি বিরাট হেসে বললাম, অংক সে কী খুবই কঠিন?
বাছারে , অংক তো হাতিয়ার, যেটা তোমাকে করে তুলবে বুয়েটিয়ান
মাগো , আমি সেই আবরার, যার ছোট্ট দেহটা আজ পোকাদের বসবাস
আমি নেই তো কী হয়েছে, আমার আত্মাটা মা বলে ডাকবে তোমাকে
এক সময় তোমার কোল জুড়ে ছিলাম আমি আমারটা,
এখন তোমার কোল জুড়ে থাকবে আমার লাশটা।

রক্তে আমার অনাদি অস্থি,
ইতিহাস করে রেখেছি , রেখেছি আমার প্রাণ স্বপ্নকে
মা, তোমার কাজল বুকে
স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেল পারলাম না পূরণ করতে
মাগো, অশ্রু ঝরিয়ো না তোমার মায়া ভরা চোখ থেকে।

দেখ মা, আমি তোমার সেই ছোট্ট আবরার ঘুমিয়ে আছি তোমার সামনে।

তুমি জানো আর এক আল্লাহ্‌জানে উঠব না আমি জেগে,
মা, আমার যা হওয়ার হয়ে গেছে
জীবনে তোমাকে আর দেখতে পারব না আঁখি মেলে।

নীড় ভাঙা পাখি গেছে উড়ে ,
আমি এখন শুয়ে আছি সেই কবরে।

বেদনা ভরা মন কেঁদে মরে
তোমায় না দেখলে মাগো , থাকবে এখানে কী করে!

লেখক- দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী
সরকারি মহিলা কলেজ ,যশোর।

জুন ২১, ২০২০ at ০৯:১৬:৩৩ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআইএম/তআ