পাইকগাছায় চিংড়ীর দাম নিয়ে বিপাকে চাষীরা

খুলনার পাইকগাছায় বাগদার পোনার ব্যাপক সংকট, প্রচুর দাম ও বিক্রয় উপযুক্ত বাগদার দাম কম হওয়ায় চিংড়ী চাষীরা হতাশায় ভুগছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সঠিকভাবে দেখভালের অভাব, বিদেশে রপ্তানি বন্ধ থাকায় চাষীরা দায় দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন :
জয়পুরহাট আশা’র উদ্যোগে ৫শ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রদান
জগদীশপুর ইউনিয়নের ২৫০’শ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী
চৌগাছায় আশা’র উদ্যোগে ইউএনওর কাছে খাদ্য সহায়তা প্রদান

জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আশি’র দশক থেকে চিংড়ী চাষ হয়ে আসছে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। চলতি বছর রপ্তানি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ কোম্পানি চিংড়ী বেচা কনো বন্ধ করে দিয়েছে বলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। চিংড়ী চাষের এ ভরা মৌসমে প্রতি কেজি চিংড়ি ৪ থেকে ৫শ টাকায় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছরে যা ১হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি বিঘা জমির হারি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে বিপদের পর মহাবিপদ।

বিগত বছরের তুলনায় পাইকগাছায় চলতি বছর পোনা সরবরাহ ৮০% কম বলে জানালেন খুলনা বিভাগীয় চিংড়ী পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গাল্ফ হ্যাচারী মালিক গোলাম কিবরিয়া রিপন। তিনি আরও বলেন, মাদার সংকটের কারনে কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী পোনা উৎপাদন করতে পারছে না। একারনে এবছর পোনার দাম বেশি। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা চিংড়ী চাষ অধ্যুষিত এলাকা। এর মধ্যে শুধু পাইকগাছা উপজেলায় চিংড়ী ঘেরের সংখ্যা প্রায় চার হাজার, যার আয়তন দ্ইু হাজার হেক্টরের অধিক বলে জানালেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস। চিংড়ী চাষী শংকর দেবনাথ জানায়, এবছর বড় বিপদে আছি। সবকিছুর দাম বেশি, পোনার দাম অন্য বছরের থেকে ৩/৪ গুন বেশি তার পর ঠিকমত তা পাওয়া যাচ্ছে না আর বড় বাগদার দাম অনেক কম। এব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এর সাথে জড়িত চাষী, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।

মে ১২, ২০২০ at ১৯:৩০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএইচ/এএডি