ক্ষুধা মেটাতে মৃত্যু, মৃত্যু ঠেকাতে ক্ষুধার্ত ?

পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে মরবেন, না নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মরবেন।
পাহাড় থেকে। কারন আপনি লাফ জানেন। কিন্তু তাতে কি সাঁতার তো জানেন না। মানে পাহাড় থেকে লাফ দিলে তো আগে নদীতে পড়বেন। তার চেয়ে সরাসরি নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ই ভাল। কারন হাবু ডুবো যাই হোক পাহাড় থেকে পড়া এক্সট্রা ঝামেলা।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে জানতে হবে পাহাড়ের নীচেই নদী।

ক্ষুধা! খাদ্যের ক্ষুধা অনেক কঠিন সমস্যা। পেটের ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবীর কোন মানুষ সুস্থ থাকে না। বন্যা, খরা, মহামারী, যুদ্ধের সময় হেলিকপ্টার বা অন্য কোন ভাবে আকাশ থেকে খাবার ছিটানো হয়। গল্পে দেখা গেছে পেটের কোন কাজ নেই সব কাজ মাথার। বাঁকি কাজ হাতের। বাঁকি কাজ পায়ের, বাঁকি কাজ চোখের, নাকের। মানে পেট পেটুক। বসে বসে খায়। তার জন্য লকডাউন মানা যায় না। বাজারে যেতে হয়। খাদ্যের জন্য যত সব।

তো সবাই মিলে পেটের খাবার বন্ধ করে দিল। ধীরে ধীরে মুখে হা বেশী হল, চোখের মটো উল্টে যায় যায় ভাব। মাথা পৃথিবীর গতিতে ঘোরে। আর লকডাউন এর লক ধীরে ধীরে খুলে যাবার উপক্রম।

তখন সবাই বুঝল পেটের কাজ আছে। পেটে খেলে পিঠে সহ্য হয়। আবার স্বাভাবিক হল। এবার সব কিছুই কাজ করতে লাগল।

তো লকডাউন দিয়ে। সরকারীভাবে বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারী জন জীবন রক্ষা করতে এর ভাইরাস এর ভাইরাল থেকে তার জন সমষ্টিকে রক্ষা করতে নিজে বাজার করে নগর শহর বন্দর, গ্রামে বাড়ী বাড়ী দিয়ে আসল। আর টেলিফোন করলেই থানা পুলিশ খাবার নিয়ে হাজির।

এ ধা’র মধ্যেও আমাদের আরও দরকার। মানে বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল। কর্মস্থলে যোগদানে এক জনের ঘাড়ে আরেক জন। এ এক হৈ হুললর পরিবেশ।

আমি যদি আক্রান্ত হই তাহলে খেতে হবে, সুস্থ হতে হবে বাঁচতে হবে। আর যদি মরে যাই তাহলে খাবার খেতে পারব না। তাহলে ক্ষুধা মেটাতে মরা যাবে না আবার বাঁচতে যেয়ে ক্ষুধার্ত হওয়া যাবে না।

তবে ক্ষুধা মেটাতে ধৈর্য ধারণ করলে মরবে না কিন্তু মরন ঘাতি করোনা হতে দুরে যেতে দেরী হলে জীবনেরই দেরী হয়ে যাবে। সবই আল্লাহ্ র হাতে তবুও রোজা তো সংযমের ই শিক্ষা।

তো ক্ষুধা র রাজ্যে পৃথিবী তো অনেক কিছুই ,,,,,,। কিন্তু করোনা ভাইরাস ঐ পাহাড়ের নীচে নদী নাকি ক্ষুধা মেটাতে ভাইরাস আক্রান্ত অনিবার্য। এই দুই বোঝার সময় এসেছে। একই রন কৌশলে দুই যোদ্ধা র প্রান রক্ষা। তত তাড়াতাড়ি হবে না হয়ত। কিন্তু সব্যসাচী কৌশল তো আছেই।সে দিকের আশায়।

লেখক: ইমাউল হক, পিপিএম
পুলিশ পরির্দশক

মে ১১, ২০২০ at ২০:০৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএইচ/এএডি