চুয়াডাঙ্গায় সীমিত পরিসরে কাল থেকে খোলা হবে শপিংমল ও দোকান

চুয়াডাঙ্গায় আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে চুয়াডাঙ্গার দোকান-পাঠ ব্যবসায়ীরা খুলতে পারবেন। তবে ১৫ শর্তে দোকান খুলতে পারবন। শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিন্ধান্ত নেয়া।

জানাগেছে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে ব্যবসা বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ নেয়া হয় ক্রয় বিক্রয়কালে পারস্পরিক নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমল ও দোকানসমূহ সকাল ১০ টা হতে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। সকল শপিংমল ও মার্কেটের প্রবেশমুখে আবশ্যিকভাবে জীবাণুনাশক টানেল আগামী এক সপ্তাহের মাঝে স্থাপন করতে হবে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দোকানের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাত না ধুয়ে কেউ দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না।

আরো পড়ুন :
চৌগাছায় অসহায় হয়ে পড়েছেন অলংকার কারিগররা
রায়পুরে অসহায় দুস্থদের মাঝে বিএনপি’র ত্রাণ বিতরণ
করোনা : গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৬৩৬, মৃত্যু ৮ ও সুস্থ হয়েছেন ৩১৩ জন

মাস্ক পরিধান ব্যতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা মাস্ক না পড়ে আসবে তাদেরকে মার্কেট থেকে কিনে নিতে হবে। সকল বিক্রেতা/ দোকান কর্মচারীকে মাস্ক/ হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব অর্থাৎ ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রতিটি দোকানে মার্কিং করতে হবে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বেচা-কেনা করতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যতজন ক্রেতাকে সেবা দেয়া সম্ভব তার বেশি ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। যে সকল শপিং মলে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য পৃথক পথ ব্যবহার করার সুযোগ আছে সে সকল শপিং মলে প্রবেশ ও বাহির হবার জন্য পৃথক পথ ব্যবহার করা হবে। কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শপিংমল গুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এক এলাকার জনগণ যেন অন্য এলাকায় বা দুই কিলোমিটার দূরত্বের বাইরে শপিং করতে না যায় সে কারণে প্রত্যেক ক্রেতাকে যথাযথ পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক ব্যানার যেমন “স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ব্যানার ব্যবসায়ীগণ নিজ উদ্যোগে স্থাপন করবে। এছাড়াও ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিধি বিষয়ক তথ্যাদি মাইকের মাধ্যমে অনবরত প্রচার করতে হবে। দীর্ঘদিন যাবৎ সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় স্বল্প মূল্যে যেন ক্রেতাগণ পণ্য কিনতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ন্যূনতম লাভে পণ্য বিক্রয় করতে হবে এবং সকল পণ্য ক্রয়ের মেমো সংরক্ষণ করতে হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল উপজেলায় একইভাবে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট চালু রাখা যাবে। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনওগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সীমিত পরিসরে দোকান-পাট চালু হলেও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং পূর্বের ন্যায় সকল ইজিবাইক, অটো এবং অন্যান্য অবৈধ যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। জরুরি সেবা ও কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য পণ্য, কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকানের ক্ষেত্রে পূর্বে জারীকৃত সকল নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। শপিংমলে আগত যানবাহনসমূহকে অবশ্যই জীবাণুমক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে ব্যবসা বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে উপর্যুক্ত শর্তসাপেক্ষে আকারে দোকান পাট চালু রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দায়িত্বশীল একজন নাগরিক হিসাবে সরকারী সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আশারাখি, আপনারা সবাই স্বাস্থ্যবিধি সর্তকতার সাথে মেনে চলবেন। বিনা প্রয়োজনে বাইরে আসবেন না, নিজ বাড়িতেই অবস্থান করবেন, আপাতত আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। মনে রাখবেন, ঈদ উপহারের চেয়ে আপনার সুস্হতা আপনার প্রিয়জনের কাছে অনেক দামী। বেঁচে থাকলে করোনা পরিস্হিতি সফল ভাবে মোকাবেলা করে আপনার প্রিয়জনের সাথে উপহারসহ দেখা করতে পারবেন।

মে ০৯, ২০২০ at ১৭:০১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/টিআর/এএডি