বীরগঞ্জে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন: গ্রেফতার -২ 

এক কিশোরকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৪নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দ কেরানীপাড়ায় মো. মিনহাজ (১৫) নামে এক কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে বীরগঞ্জ থানাতে মামলা হয়েছে।

ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি বীরগঞ্জ থানা পুলিশের নজরে আসে।

গতকাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মতিন প্রধান নির্যাতিত কিশোরের স্বজনদের ডেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে মামলা রুজু করেন। এতে মামলায় উপজেলার ঘোড়াবান্দ কেরানীপাড়া গ্রামের মো. হাবিবর রহমানের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক (৪৫) তার স্ত্রী মোছা. রমেনা বেগম (৪০) ও সহযোগী মোঃ রমজান আলীর ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (২৫) কে আসামী করা হয়। ঘটনা বিরবণে জানা যায়, আসামীর বাড়ীতে আবু বকরের ছোট মেয়েকে আরবী শিক্ষা দিয়ে আসছিল মিনহাজ।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ছোট মেয়েটি পড়া না পারায় মিনহাজ মেয়েটিকে একটি চর -থাপ্পড় মারাকে কেন্দ্র করে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিনহাজ (১৫) নামে ওই কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে শক্ত বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালানোর একপর্যায় সে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো:নুর, রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুল মিনহাজকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্ আহত মিনহাজের ভর্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পর নির্যাতিত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বীরগঞ্জ থানায় এসে ১৮৬০ সালের ফৌজদারি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং -৬ তারিখ ৩০/৪/২০২০ ধারা ৩৪২.৩২৩.৩২৫.৩০৭.৫০৬.১১৪.। মামলা দায়ের পর রাতে বীরগঞ্জ থানার এস আই আলন চন্দ্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামি আবু বকর সিদ্দিক ও সহযোগি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।