ওগো আজ যাসনে তোরা ঘরের বাহিরে

যা হল নোয়াখালী, রাজশাহী, মাগুরা আর যশোরে :

বাহিরে যাসনে।কারন লন্ডন, আমেরিকা র সবাই ঘরে।মডেল ,আর ক্লাবের ড্যান্সার রা এখন পর্দাতলে।চোর ডাকাত ও এখন বেশী বের হয় না।
মসজিদ ,মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা য় যাওয়া আসা সীমিত। হাট ,বাজার চায়ের আড্ডা বন্ধ।অফিস আদালত ছুটি।বোকারা বাইরে যায়।নিজেও মরে অন্যকেও মারছে।

বেঁচে থাকলে নাচ,গান,আনন্দ দেখা যাবে।সিনেমা দেখ আর প্রার্থনা করতে চাও ,যে কোনটার জন্য দরকার ভাইরাস ঠেকাও!মানে ঘরে থাকা।

রাজা, শাহীদের খান্দানে আঘাত করে বসল।রানীর দেওয়া নাম আর প্রতাবের গন্ধ ঠেকাতে পারেনি ভাইরাস কে।ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহী।

নাব্যতা না থাকায় নাটোর থেকে মানুষ রাজশাহী যেত।আজ ও তাই ভাইরাসের আগমন নাটোর ডিংগিয়ে রাজশাহী। এ মাটির মায়ায় তীর যেন বুকের ভিতর।কাছের মানুষদের মৃত্যু শোকবলে শুধু ই দৃশ্যমান।

যসরে “জস” পার হয়ে, মানে সাঁকো পার হয়ে যশোরে র জমিদারদের উচ্চ স্তরের চাকলায় কঁকিয়ে, খচিয়ে একে একে ত্রিরিশের ত্রিশে ভয়ের ভাইরাস!প্রাচ্যের লর্ড রা পর্দা র ভিতরে । ১৭৮১ পরে মহামারী ঢুকতে পারেনি এ মহালে।কিন্তু অধুনা আম জনতার হুরোহুরি আর কোলাহল বন্ধ না হওয়ায় ধরা পড়ল দরাটানায় দড়ির শিকলে। অবলা অবলীলায় মারা গেল ।হল না কোন লীলা কীর্তন। এ জনপদে র ভালবাসা য় ভাইরাসের আঘাত যেন লন্ড ভন্ড চেতনায় সংক্রামন।

মগদের অত্যাচারে মানুষ থাকতে পারে নাই।মাগুর মাছে ভরা এ জনপদের সহজ সরল মানুষ গুলোকে না জেনে ,না শুনে ধরে বসল করোনা র করাল গ্রাস।এত দিনে ঢাক ঢোল আর ঘরে থাকা র বকবক কেউ মানে নাই। সমঝোতার মানুষদেরও ছাড়ল না করোনা ভাইরাস।কাছের জনদের সংক্রামন নিজেকে ভীত সন্ত্রস্ত করে ফেলল।

একশ বছর পার হলে কি হবে ।ইতিহাস ঐতিহ্য কি কম?এখনও খাল নতুন ই আছে ইতিহাসে।নয়াখালের কোন পাশ দিয়ে শত্রু র বল্লমে বহুরূপী ভাইরাস এখন নোয়াখালীতেও। আতিথেয়তায় ভরা ,আপনভাবা স্বজনদের হেফাজত কি ভাবে হবে?বিশেষ করে চাটখিলের প্রবাসীদের হালচাল তো আরো কষ্টে র।যাদের চোখ মুখের চেহারা আজও ভাসমান।ভাইরাসের ক্রন্দন প্রবাসী দের তো দেশে বিদেশে। দুরে থাকা স্বজনদের ঠেলে দেবে আরো দুরে।এসব মন ,ভাষা আর তাকানোর ভংগি তো আমার চিরচেনা।তাদের ছটফট লিখব কেমনে?

এদিকে সহকর্মীর চোখের ভাষা বুঝতে কষ্ট হয়নি।আলিংগন খুবই মমতা ভরা।কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে যা বলতে চেয়েছিল।বুঝতে কষ্ট হয়নি। তার মা এখনও তিন বেলা খাবারের খবর নেন।শরীর কেমন। অবলীলায় মায়ের কাছে লুকিয়ে ,খুবই ভাল।যে টাকা দিয়েছি তা দিয়ে লেবু,জিংক, আর শাক সবজি খাও মা।কিন্তু আপত্তি তখন বাঁধে। মা ভিডিও কলে ফোন করতে বলল।সহজ উত্তর এম বি নাই ।পরে ।আর দোয়া কর মা আমি যেন ভাল থাকি।বাস্তবে তার চোখ লাল,আমের কসের মত পড়ছে চোখের পানি।প্রচন্ড মাথা ব্যথা ।তার উপর নিসংগ থাকার আদেশ। আত্মীয় স্বজনের কথা মনে করে আর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ডাকে তাকে ফিরে আসতে হবে।
একথা বলতেই গোপন অশ্রু আর বেঁচে থাকার যে কত ইচ্ছা, সে চোখ মুখের এক অবয়ব বলে দিল হরেক রকমের উপন্যাস। তার একটাই চাওয়া

“”ওগো আজ যাসনে তোরা ঘরের বাহিরে
গগনে র বাতাস আজ মৃত্যু লাশের ছন্দ
জানাজা,কবর আর মরন যেন অশান্ত
হাট বাজার আর জনালয়ে করোনার গন্ধ
ডাক্তার, কবিরাজ, হাকিমের নেই কোন তন্ত্র মন্ত্র””