বড় মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছোট মেয়েকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ

বড় মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছোট মেয়েকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু। আর জোরপূর্বক চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন ছাত্র উপদেষ্টার স্বামী ও কলেজটির অধ্যক্ষ শফিউল আলম। এছাড়া নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তাকে। এমন অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের প্রাণীবিদ্যার প্রভাষক দুরুল হুদা।

বুধবার রাজশাহী নগরীর টিএফসি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

দুরুল হুদা বলেন, ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যোগদানের পরের বছর অধ্যক্ষের পঞ্চম শ্রেণী পড়–য়া কন্যাকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। এতে রাজি না হলেও অধ্যক্ষ এবং তার স্ত্রী রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু বারবার অনুরোধ করায় অনেকটা বাধ্য হয়েই পড়াই।

২০১৮ সালে মাঝামাঝি সময়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন কলেজ অধ্যক্ষ। কিন্তু আমি বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল অন্য একজন মেয়েকে বিয়ে করি। এতে তার মেয়েকে বিয়ে না করায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনা বলেও হুমকি দেন তারা।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অধিনায়ক মাশরাফির শেষ সিরিজ

এরপর ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রাজশাহী শিক্ষক ট্রেনিং থেকে বাসায় আসলে তার মেয়েকে আবার পড়ানোর জন্য ফোন দেন। পুনরায় ১৬ অক্টোবর আবার ফোন দিলে অধ্যক্ষের কারণে বাধ্য হয়ে পড়াতে যাই। কিন্তু সেইদিন তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দেয়। এবং চারদিন পর ২০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্র উপদেষ্টা মামলা দায়ের করেন। কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে জেল থেকে ফিরে এসে আমায় প্রাণনাশের হুমকি দিলে থানায় জিডি করি।

অথচ ঘটনার পর দিন থেকে তার ছোট কন্যা নিয়মিত স্কুলে আসে এবং সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করে বলে দাবি দুরুল হুদার।

অভিযোগ আছে জেলহাজতে প্রেরণ করেই তারা ক্ষান্ত হননি। ওই শিক্ষকের মামলার বিষয়ে নিউজ২৪ টিভি চ্যানেলে তার সহকর্মীরা সাক্ষাৎকার দিলে জান্নাতুন নাহার, ফারজানা মুনিরা আক্তার কেয়াসহ শ্রী হরেন্দ্রনাথ রায়কে অধ্যক্ষ শফিউল আলমের রোষানলে পড়েন।

এছাড়া ইনক্রিমেন্ট হেল্ডআপ করা, প্রমোশন বন্ধ করা, এসিআর খারাপ করা, অধ্যক্ষের মন জুগিয়ে চলা, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের ভয় দেখানো, উনার কথা অনুযায়ী চলার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকিসহ বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ করেন শিক্ষক দুরুল হুদা।

এ বিষয়ে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু জানান, দুরুল হুদা যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। আর দুরুল হুদা যে সময়ের কথা বলছে তখন আমার মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি। কাজেই বিয়ের কথাবার্তার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দেশদর্পণ/এএসএস/এসজে