চলন্ত গাড়ী থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল ৭ মাসের শিশুকে

চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় চলন্ত অটোরিকশা থেকে রাস্তার ধারে ছুঁড়ে ফেলে দিল ৭ মাসের এক শিশু কন্যাকে। বাচাঁলো পুলিশের এক সদস্য। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশের একটি কবরস্থানের কাছে চলন্ত অটোরিকশা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা শিশুকে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার হলে ডিউটিরত খুলশী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিরণ মিয়ার। পরে হিরন মিয়া সন্দেহের জেরে সামনে এগিয়ে গেলে দেখতে পান কবরস্থানে মুমূর্ষু অবস্থায় একটি শিশুকে। দ্রুত সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার ডিউটি থাকায় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন থানার সহকারী উপ -পরিদর্শক (এএসআই) হিরণ মিয়া। দুপুরে পৌনে ১টার দিকে তিনি দেখতে পান, পলিটেকনিকের অদূরে মডেল কলেজের পাশে কবরস্থানের সামনে একটি চলন্ত অটোরিকশা হঠাৎ থামিয়ে কিছু একটা জিনিস ছুঁড়ে ফেলছেন রাস্তায়। হিরণ আচঁ করতে পেরে দৌড়ে সেখানে যেতেই অটোরিকশাটি দ্রুতগতিতে চলে যায়। এর পর তিনি দেখেন, একটি শিশু রাস্তায় পড়ে কাঁদছে।
আরও পড়ুন: ইউএনও রকিবুরকে কর্মস্থল ত্যাগের নির্দেশ

খুলশী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. হিরণ মিয়া জানান, দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পরীক্ষার ডিউটি করছিলাম। খুলশী কলোনি থেকে পলিটেনিক মোড়ের দিকে যাওয়া একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে এক ব্যক্তি কিছু একটা জিনিস সড়কের পাশে কবরস্থানে ফেলে দিচ্ছিলেন। ফেলে দিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি দ্রুত চলে যাওয়া দেখে একটু সন্দেহ হয়। পরে কবরস্থানে কাছে গিয়ে দেখি শিশুটিকে। শিশুটির খুব মুমূর্ষু অবস্থায় এবং শরীরে ময়লা দুর্গন্ধ ছিল। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

খুলশী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, ‘অটোরিকশার ভেতরে কারা ছিল, সেটা এএসআই হিরণ সঠিকভাবে দেখতে পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি মারা যাবে ভেবে কবরস্থানের পাশে ফেলে যাওয়া হয়েছে, যাতে মৃত্যুর পর বেওয়ারিশ হিসেবে ধরে দাফন করে ফেলতে পারে। একটি শিশুর সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ কল্পনাও করা যায় না।’

ঘটনাস্থলের আশেপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সংরক্ষিত ফুটেজ থেকে অটোরিকশাটির গন্তব্য অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে এবং যারা এই নির্মম কাজটি করেছে তাদের আমরা খুঁজছি।

দেশদর্পণ/এমএম/এসজে